বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের বন্তব্য, শুধুমাত্র ফোনে কথা বলে অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ না দিলেই ভালো করত সিঙ্গল বেঞ্চ। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাঁচ বছরের পুরনো একটি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ওই কলেজের গভর্নিং বডি’র এক প্রাক্তন সদস্য নীল বসু ২০১৮ সালে সুনন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। আবার সম্প্রতি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’ কলেজ নিয়ে আরও একটি মামলা হয়েছে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন পুরনো মামলা উত্থাপন করেন নীল বসু। কলকাতা পুলিশ সেই তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার সিআইডি’কে তদন্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
নথি জাল করে কলেজের শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে তদন্তের পরও কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ফ্রড সেকশন ওই মামলার কোনও কিনারা করতে পারেনি। সেই কারণেই তদন্তের ভার সিআইডি-কে দেওয়া হল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সুনন্দা ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিআইডি। প্রয়োজনে হেফাজতেও নিতে পারবে।