গত ২৫ জানুয়ারি গোটা দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের পাঠান। চার বছর পর বড়পর্দায় ফিরেছেন শাহরুখ, তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশজুড়ে তাঁর ক্রেজ বেড়ে গিয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সের পাশাপাশি সিঙ্গল স্ক্রিনেও এই সিনেমা রীতিমতো ঝড় তুলেছে। যদিও এই সিনেমার বেশরম রং গানটা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধলেও পাঠান সিনেমার সফলতা সব বিতর্ককে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে। সেই পাঠান দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কিন্তু কোনও এক কারণবশত সেটা তিনি দেখতে যেতে পারেননি। বুধবার এজলাসে বসে নিজেই এ কথা জানালেন বিচারপতি।
পাঠান দেখতে না যাওয়ার কারণ
এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে একটি মামলার শুনানি চলছিল। হঠাৎই পাঠান প্রসঙ্গ ওঠে। সেই সময় আইনজীবী রেশমী ঘোষের কাছে বিচারপতি জানতে চান, তিনি পাঠান সিনেমাটি দেখেছেন কি না। উত্তরে আইনজীবী জানান, এই সপ্তাহে তিনি দেখতে যাবেন সিনেমাটি। তখনই বিচারপতি বলেন যে তাঁরও পাঠান দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। যদিও কোনও এক বন্ধুর বকাবকির ঠেলায় সেটি আর হয়ে ওঠেনি। সেই সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিকও। তিনি সিনেমাটি ইতিমধ্যেই দেখে এসেছেন বলে জানান। তাঁর সিনেমাটি বেশ এন্টারটেইনিং লেগেছে এবং পাঠান অবশ্যই একবার দেখা উচিত বলে জানান বিশ্বব্রতবাবু।
আরও পড়ুন: Pathaan ott release: অপেক্ষার অবসান, OTT-তে আসছে 'পাঠান', কবে-কোথায় দেখা যাবে?
পাঠান দেখতে আদৌও যাবেন কিনা নিশ্চত নয়
মামলা চলাকালীন সেই সময় এজলাসে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এমন খোশমেজাজি কথাবার্তার সময় এজলাসে উপস্থিত অনেকেই জানান যে তাঁরাও পাঠান সিনেমাটি দেখেছেন। সবার কথাই মোটের উপর শোনেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যদিও সবার থেকে রিভিউ নেওয়ার পর এবার তিনি পাঠান দেখতে যাবেন কি না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি এদিন। আর বিচারপতি এজলাস ছেড়ে বেরোতেই গুঞ্জন শুরু হয় আইনজীবীদের মধ্যে। বিচারপতির বন্ধু তাঁকে আসলে কার জন্য বকলেন? শাহরুখ? নাকি দীপিকা? এই নিয়েই তখন আইনজীবীদের মধ্যে বলাবলি। যদিও শেষ পর্যন্ত এই নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে কোন তত্ত্বটি বেশি জোরালো হয়ে উঠল, তা জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: TET Scam: প্রাথমিক তদন্ত থেকে CBI অফিসারকে বাদের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
পাঠান সিনেমার সফলতা
প্রসঙ্গত, দেশ ছাড়িয়ে পাঠান বিদেশের মাটিতেও ভালো ব্যবসা করেছে। অনেকেই বলছেন পাঠান সিনেমার হাত ধরে বলিউডে সুদিন ফিরে এসেছে। আবার অনেকের মতে এই সিনেমা বয়কট বলিউড ট্রেন্ডের গালে বড়সড় চড়। সব মিলিয়ে পাঠান সিনেমা বেশ জোর কদমে সিনেমা হলগুলিতে ছক্কা হাঁকিয়ে চলেছে এবং তার সঙ্গে লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে সমান তালে।