Advertisement

Calcutta HC On JU: হাইকোর্টে বিচারপতি বনাম কল্যাণ! বিতণ্ডার পর আদালতকক্ষ ছাড়লেন আইনজীবী

কল্যাণের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই কল্যাণ শপথ নেন, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে আর সওয়াল করবেন না। এরপর আদালতকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।

কলকাতা হাইকোর্টে যাদবপুর মামলাকলকাতা হাইকোর্টে যাদবপুর মামলা
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Mar 2025,
  • अपडेटेड 4:07 PM IST
  • কল্যাণের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি।
  • তিনি শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।

যাদবপুর মামলায়  শুক্রবার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষে সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। তিনি শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরই কল্যাণ শপথ নেন, বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে আর সওয়াল করবেন না। এরপর আদালতকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।

এ দিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,  রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন সেদিন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কাছে তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সঙ্গে ছিলেন না? কল্যাণ জবাব দেন,  '২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশ পিকেট বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তা করতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। কোনও রাজনৈতিক সভা বা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায় না'। 

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন,'কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ করা হলে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যেতে পারব না। আইনজীবী পেশার বাইরেও আমি একজন জনপ্রতিনিধি এবং লোকসভার সাংসদ। নির্দিষ্ট নিরাপত্তা থাকলেও সব জায়গায় তা ব্যবহার করি না। বহু সময় রাজনৈতিক সভা বা সমাবেশে প্রিয় নেতা বা মন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে চান কর্মী-সমর্থকরা।'। 

বিচারপতি বলেন,'একজন মন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রোটোকল মেনে চলা উচিত। আর আপনি এমনভাবে আদালতের সঙ্গে কথা বলেন, তাতে অন্তত হাইকোর্ট নিজেকে অসম্মানিত মনে করছে। আদালতের ভাবমূর্তি কলুষিত করার চেষ্টা হয়েছে। গঠনমূলক সমালোচনা এক জিনিস, আর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা আর এক জিনিস'।

কল্যাণ তখন জানান,'কোর্টকে অসম্মান করে থাকলে আমি দুঃখিত। এই কোর্টে শুনানির জন্য আর আসব না'।

বিচারপতি বলেন,'আপনি এই মামলায় সওয়াল করতেই পারেন'।  কল্যাণ তখন হাতজোড়ে করে জবাব দেন,'মাফ করুন। কোনও মামলার শুনানিতেই আর থাকব না'।

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement