Advertisement

Jyotipriya Mallick: কমান্ড হাসপাতালেই জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা, সেনার আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

সেনাবাহিনীর বাইরের কাউকে যাতে চিকিৎসা না করানো হয়, সেই আবেদন নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 02 Nov 2023,
  • अपडेटेड 2:44 PM IST
  • সেনাবাহিনীর বাইরের কাউকে যাতে চিকিৎসা না করানো হয়, সেই আবেদন করেছিল ইডি।
  • বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ইডি হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অনীহা প্রকাশ করেছিল কমান্ড হাসপাতাল। তবে সেই অনীহায় সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে আপাতত কমান্ড হাসপাতালেই চলবে বনমন্ত্রীর চিকিৎসা। কমান্ড হাসপাতাল আপত্তি তুলেছিল, সেনাবাহিনীর বাইরের কারও চিকিৎসা সেখানে সম্ভব নয়। এই মর্মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল তারা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করল আদালত। আদালতের নির্দেশে কমান্ড হাসপাতালেই চলবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে সেখানেই। 

সেনাবাহিনীর বাইরের কাউকে যাতে চিকিৎসা না করানো হয়, সেই আবেদন নিয়ে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমান্ড হাসপাতালের তরফে আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডে এ দিন আদালতে জানান,'কেবল সেনার চিকিৎসা করা হয় কমান্ড হাসপাতালে। সেখানে সাধারণ নাগরিকদের ভর্তি করানো যায় না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাই পরিষেবা পান। বাইরের কেউ ভর্তি হলে বাড়তি চাপ পড়ে। বাকিদের চিকিৎসায় প্রভাব ফেলে। তাই আবেদন করা হয়েছে।'

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ নির্দেশ দিয়েছেন, কমান্ড হাসপাতালেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসাও দিতে হবে তাঁকে। তবে বিচারপতি জানিয়েছেন, কমান্ড হাসপাতালের আপত্তি নিয়ে ইডির বক্তব্য জানা জরুরি। তার পরই বিবেচনা সম্ভব। সেটাও মামলার পরবর্তী শুনানির দিন। ৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা। ততদিন পর্যন্ত কমান্ড হাসপাতালেই বনমন্ত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে।

আরও পড়ুন

গত শনিবার এবং সোমবারও জ্যোতিপ্রিয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়েছিল কমান্ড হাসপাতাল। আবেদন করা হয়েছিল নিম্ন আদালতে। বিচারককে তারা জানিয়েছিল, প্রচুর রোগী ভর্তি হাসপাতালে। মন্ত্রীকে ভর্তি করানোর জন্য বাড়তি চাপ তৈরি হচ্ছে। আদালত তাদের অব্যাহতি দিক। এর আগেও কমান্ড হাসপাতালে একাধিক অভিযুক্তকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী সওয়াল করেন, দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা পরস্পরের বিরুদ্ধে হাসপাতালে যেতে পারে না। তার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তার পরই আদালত জানিয়ে দেয়, এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না।  

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement