Advertisement

সন্দেশখালি গণধর্ষণ মামলায় পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট, SIT গঠনের নির্দেশ

সন্দেশখালিতে গণধর্ষণ মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সন্দেশখালি গণধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল বুধবার।

সন্দেশখালিতে গণধর্ষণ মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠনের নির্দেশসন্দেশখালিতে গণধর্ষণ মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠনের নির্দেশ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 29 Jan 2025,
  • अपडेटेड 8:54 PM IST
  • সিটের নেতৃত্বে থাকবেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়
  • সিটের সদস্য হবেন আইপিএস রাহুল মিশ্র, তিনি বাদুড়িয়ার এসডিপিও

সন্দেশখালিতে গণধর্ষণ মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্ত দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সন্দেশখালি গণধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল বুধবার। সেই শুনানিতে পুলিশি তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তারপরই সিট গঠনের নির্দেশ দেন। সিটের নেতৃত্বে থাকবেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। সিটের সদস্য হবেন আইপিএস রাহুল মিশ্র, তিনি বাদুড়িয়ার এসডিপিও। এক মাস পর তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে বসিরহাট মহকুমা আদালতে।

এই মামলায় নির্যাতিতা আগে আদালতে জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করছে তৃণমূলের লোকজন। এ কথা শুনে জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে নির্যাতিতাকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। উল্লেখ্য, শেখ শাহজাহান পালিয়ে যাওয়ার পর এই সন্দেশখালিতেই মহিলাদের ওপর অত্যাচারের নানা ঘটনা সামনে এসেছিল। অনেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে গোলমালের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার, যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই তেতে ছিল সন্দেশখালি। গ্রেফতার করা হয় উত্তম, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে। পরে জামিন পান বিকাশ। গ্রেফতার করা হয় শিবপ্রসাদকেও। গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকেও। গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকেও। সন্দেশখালির ঘটনা ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এমনকী, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল। সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী যুদ্ধে শামিল হয়েছিল বিজেপি-সহ বিরোধীরা। বসিরহাট লোকসভা কন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি। বসিরহাটে পদ্ম প্রতীকে লড়েছিলেন রেখা পাত্র। যদিও হেরে যান তিনি। জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল।

Advertisement

আরও পড়ুন

ওই বছরেরই মে মাসে সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নতুন করে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বুধবার হাইকোর্টে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই লালবাজারকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

Read more!
Advertisement
Advertisement