পহেলগাঁও হামলা নিয়ে নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গ্রেফতার হয়েছেন আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলি। মঙ্গলবার তাঁর অন্তর্বতী জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বাক স্বাধীনতা রয়েছে মানেই তার অর্থ এই নয় যে, কোনও ধর্মকে আঘাত করা যাবে। বাক স্বাধীনতা কোনওভাবেই ধর্মকে আঘাত করার অনুমতি দেয় না।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, শর্মিষ্ঠার ভিডিওর ফলে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। যা কাম্য নয়। বিচারপতির কথায়, 'আমাদের দেশের মানুষের একাংশের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আমাদের বাক স্বাধীনতা রয়েছে। তাই বলে আপনি অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারেন না। আমাদের দেশ বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। সেটা মাথায় রাখতে হবে।'
বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি জানান, কেস ডায়েরি না দেখে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আগামী ৫ জুন অবকাশকালীন বেঞ্চে রাজ্যকে কেস ডায়েরি পেশ করতে বলা হয়েছে। সেদিনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
অভিযোগ, গত ১৪ মে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত কন্টেন্ট পোস্ট করেন শর্মিষ্ঠা। ১৫ মে তাঁর বিরুদ্ধে গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কলকাতায় আনন্দপুরে তাঁর বাড়িতে নোটিশ দেওয়া হয়। তবে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি। এরপর দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি কলকাতার বাসিন্দা হলেও পুণেতে আইন নিয়ে লেখাপড়া করছেন।
শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতারির পর গত শনিবার আদালতে পেশ করা হয়। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। যদিও যে কন্টেন্ট নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল, তা মুছে দিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
অভিযোগ, শর্মিষ্ঠা একটি নির্দিষ্ঠ ধর্মের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছিলেন। গালিগালাজ করেছিলেন। পাল্টা শর্মিষ্ঠার দাবি ছিল, তিনি পাকিস্তানের মানুষকে জবাব দিতেই ভিডিও তৈরি করেছেন। ওই তরুণীর এই ভিডিওর তীব্র বিরোধিতা করেন দেশের একাধিক সাংসদ ও বিধায়ক। মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসিও কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন করেন, এমন অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়াচ্ছেন। তাঁদের যেন নজরদারিতে রাখা হয়।