
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউ নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার। যদি কোনও দাগি প্রার্থী পাশ করে থাকে, তাহলে তার নাম বাদ দিতে হবে। ইন্টারভিউতে বসানো যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ বিচারপতির। তিনি আরও জানান, ওয়েবসাইটে টেন্টেড প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কমিশনকে।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ইন্টারভিউ তালিকায় দাগিদের নাম রয়েছে। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, দাগি প্রার্থীদের মধ্যে চারজন ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন বিশেষভাবে সক্ষম।
শুনানিতে কমিশনের তরফে জানানো হয়, যে ২ জন বিশেষভাবে সক্ষম তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে। তখন বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, ওই চাকরিপ্রার্থী বিশেষভাবে সক্ষম হলেও দাগি। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ, দাগিরা কোনওভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তাই তাদের বাদ দিতে হবে। তখন কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আপনি বললে আমরা বাতিল করে দিচ্ছি। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কথাই শুনেছি।' পাশাপাশি কমিশন আরও দাবি করে, বাকি দু’জন অর্থাৎ জয়নাল আবেদিন, দেবলীনা মণ্ডলের নামের বানান ভুল। তারা দাগী নন।
এরপরই মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, টেন্টেড বা দাগি রয়েছে এমন চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ১৮০৪। তারা কারা, তাদের ঠিকানা, বাবার নাম কী ইত্যাদি সব তথ্য দিয়ে নাম নাম প্রকাশ করলে সবার বুঝতে সুবিধে হবে। তা শোনার পরই বিচারপতির নির্দেশ, স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে কি না সেটা বিবেচনা করবে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট নির্দেশ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের তালিকা প্রকাশিত হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, সেখানে দাগিদের নাম রয়েছে। তারপরই মামলা দায়ের হয়।