বন সহায়ক পদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না রাজ্য সরকার। দু'হাজার অস্থায়ী কর্মীর প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশের উপরেও স্থগিতাদেশ দিল উচ্চ আদালত। বন বিভাগে কর্মী নিয়োগে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। সে নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ করে হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালত নির্দেশ দেয়,দু'মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল তৈরি করতে হবে। নতুন তালিকায় যাঁদের নাম বাদ গেল, তাঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়ে এ দিন স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার, তাতে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।
দু'হাজার জনের পুরনো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার পুরনো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। নতুন নিয়োগের বিরোধিতা করেছিলেন মামলাকারী প্যানেলে থাকা ৫০ জন। তাঁদের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এবং শামিম আহমেদ জানান, পুরনো প্যানেলের দু'হাজার জন চাকরি হারাতে পারেন। সেজন্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালে বন সহায়ক পদে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে ওঠে নানা প্রশ্ন। মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি ছিল, ভুল ঠিক না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। নতুন করে প্যানেল গঠন এবং নিয়োগের নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে রাজ্য সরকার। গত ১৯ মে রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত সেই নিয়োগ বন্ধ থাকল।