গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডেই তৃণমূলের এই বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আর তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। সেইসঙ্গে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য ও দেশের একাধিক বিষয় নিয়েও নিজের বক্তব্য রাখলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
জীবন সাহা গ্রেফতার। সিবিআই কি হাইপার অ্যাক্টিভ?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এর আগে প্রাক্তন মন্ত্রী ধরা পরেছে। বাঘ ধরা পরেছে। তখন আপনাদের হাইপার অ্যাক্টিভ মনে হয়নি? এখন প্রসেস চলছে। ভালোই হচ্ছে। হয়তো বড় বড় লোকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছিল না। এবার পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, বড় বড় লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। ঘাবড়ে যাবেন না। আপনাদের পাশে আমি আছি। এটা এতোদিন কেউ বলার ছিল না। তাই এতো দুর্নীতি হয়েছে। নেতাদের দেখুন, বড় ব্যবসায়ী, অফিসার, বিল্ডার, কে নেই! সবাই সাজা পাবে।
নিয়োগ দুর্নীতির জাল কতদূর?
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও এক তৃণমূল বিধায়ক গ্রেফতার নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর স্লোগান এগিয়ে বাংলা। সব ব্যাপারে এগিয়ে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। দুর্নীতির রেকর্ড করবে। দেশের সব দুর্নীতিকে ছাপিয়ে যাবে। শুধু দক্ষিণ নয়, উত্তরবঙ্গেও জাল ছড়ানো আছে। এক মন্ত্রী ও তার মেয়েকে নিয়ে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সার্বিক ভাবে তৃণমূলের সমস্ত স্তরে এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে গেছে।
স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানোর যৌক্তিকতা
রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন গরমের কারণে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতির বক্তব্য, আমি গ্রামে পড়েছি। আমাদের সকালে স্কুল হত। জানিনা এখানে কি সমস্যা আছে। সারাবছর শিক্ষকরা দুয়ারে সরকার আর ধর্নায় ব্যস্ত। পড়ানর সুযোগ পাননা। অর্ধেক শিক্ষক পদ খালি। এরকম অনেক স্কুলে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি। তাই সুযোগ পেলেই ছুটি দিয়ে দাও। যারা শিক্ষক ছিল, তার মধ্যে আবার ভুয়ো শিক্ষক। তারা এখন ঘর বাড়ি ছেড়ে পলাতক। স্কুল ফাঁকা, কর্মী নেই, ঘন্টা বাজাবার লোক নেই। আসল সমস্যা ওটাই। গরম টা অছিলা। একটা অছিলা দরকার ছিল। সিবিআই ধরপাকড়ের পর অর্ধেক স্কুল খালি হয়ে গেছে।
প্রয়াগরাজ শ্যুট আউট এর পর জয় শ্রী রাম স্লোগান?
রাজ্য রাজনীতিতেও ঢুকে পড়েছে প্রয়াগরাজ-কাণ্ড। এবং এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ফের বিজেপিকে বিধেঁছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। । বাংলার শাসক দলের দাবি, প্রয়াগরাজের ঘটনা ফের প্রমাণ করল উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এদিকে গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে গুলি করার পর জয় শ্রী রাম স্লোগান নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, সবাই শুনেছে। জয় শ্রী রাম। কেন? একটা লোক ৪১ বছর ধরে ক্রিমিনাল। কত কেস আছে কেউ জানেনা। সব ক্রিমিনাল কেস। সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে শ্যুট আউট করেছে। একটা কেসেও তার সাজা হয়নি। তাকে টিকিট দিয়ে সাংসদ বানানো হয়েছে। নেতা বানানো হয়েছে। আজ তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা ঠিক, যা ঘটেছে, তা না ঘটলেই ভালো ছিল। পুলিশ সাজা দেবে, এটাই কাম্য। সমাজের বহু মানুষকে অত্যাচার করেছে। সেই মাফিয়ার প্রতি যারা সমবেদনা জানাচ্ছে, তারা আরও বড় অপরাধী। তবে তাকে আইন অনুযায়ী সাজা দিলেই ভালো হতো।