বৃহস্পতিবার সকালে বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দেবরাজের বাড়িতে প্রায় চারঘণ্টা ছিল সিবিআই। তারপর সেখানে থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় সিবিআই কর্তাদের। সঙ্গে অবশ্য ছিলেন দেবরাজ নিজেও। সাংবাদ মাধ্যমকে দেবরাজ নিজেই জানান, তাঁর আরও একটি বাড়িতে যাচ্ছেন সিবিআই কর্তারা।
দুপুরে সিবিআই কর্তাদের সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের হন। তখনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেবরাজ জানান, “সিবিআই একটি বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। আমার বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। দমদম পার্কে আমার আরও একটি রেসিডেন্সিয়াল ফ্ল্যাট রয়েছে। এখন সেখানেই ওঁরা যাচ্ছেন তদন্তের জন্য।”
জানা যাচ্ছে, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই দেবরাজের বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তল্লাশি শেষ হওয়ার পর যা বলার বলব আমি।’’ প্রসঙ্গত রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সি স্বামী হলেন দেবরাজ চক্রবর্তীর। দমদম পার্কের বালাজি অ্যাপার্টমেন্টের ফার্স্ট ফ্লোরে তাঁর একটি গানের স্কুল ও স্টুডিও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে সেখানেই তল্লাশির জন্য গিয়েছে সিবিআই টিম।
এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রথমে রাজারহাটে দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ছিলেন অভিযানে। সিবিআই যখন হানা দেয় দেবরাজ বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাড়ির সদস্যরা সে কথা সিবিআই গোয়েন্দাদের জানিয়ে দেন। তখন বাইরে তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধাননগরের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর গাড়ি এসে পৌঁছয় বাড়ির সামনে। তখন দু’পক্ষের দেখা হয়। সিবিআই অফিসাররা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান। এদিন দেবরাজ চক্রবর্তী ছাড়াও কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে সিবিআই হানার খবর সামনে এসেছে।