Kasba Case Central Fact Finding Committee: কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে রাজ্যে উপস্থিত হয়েছিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। প্রথমে তাঁরা লালবাজারে সিপির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই ঘটনার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারপর তাঁরা কসবার আইন কলেজে যেতে চাইলেও তাঁদের সেখানে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি।
টিমের অন্যতম সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন পুলিশকর্তা সতপাল সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি মা, বোনকে নিয়ে তাঁরা চিন্তিত। কসবার এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা ব্যথিত এবং স্তম্ভিত। যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে একেরপর এক এমন ঘটনা ঘটছে সেগুলিকে আর বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যাবে না এগুলো এখন প্যাটার্ন হয়ে গিয়েছে। এখানে প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং আইন কানুন একেবারেই ভেঙে পড়েছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও এই রাজ্যে মহিলারা সুরক্ষিত নয়। বহু ঘটনা এখানে FIR পর্যন্ত হয় না। তিনি বলেন, "আমরা এই পরিবারটির সঙ্গে সহমর্মী। আমরা কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানিয়েছেন এবং গ্রেফতারির বিষয়েও জানিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের উপর আমাদের ভরসা নেই। আমরা ল কলেজ যেতে চাইলেও আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি।"
এছাড়া তিনি জানান, "দুটি বিষয় আমাদের সামনে এসেছে। ২০১৩ সাল থেকে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিকবার মামলা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে একে নিয়োগ করা হল ল'কলেজে। এইসব জায়গাগুলোতে অস্থায়ী পদে তৃণমূলের লোকদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়। আর তার পরিণাম আমরা দেখছি। মেয়েটির পাশে দাঁড়াতে এসেছি। কলকাতার মেয়ে, মানে সে সারা ভারতের মেয়ে। আমরা চাই দোষীদের কঠোরতম শাস্তি হোক। মহিলারা কেবল পরিসংখ্যান নয়, কন্যা সন্তানের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্বও আমাদের।"
এই টিমের তিনি ছাড়াও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীমতী মীনাক্ষী লেখি, সাংসদ শ্রী বিপ্লব কুমার দেব, রাজ্যসভার সাংসদ এবং বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান শ্রী মননকুমার মিশ্র। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যান্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
মনন মিশ্র সরকার, পুলিশ, প্রশাসন রাজ্যের মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বলে দাবি করেন। পাশাপাশি পুলিশ যেভাবে তদন্ত করছে তাতে আমাদের বিশেষ ভরসা নেই। সাংসদ শ্রী বিপ্লব দেবের অভিযোগ, বাংলার মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বাংলায় মহিলাদের হেনস্থা, ধর্ষণ করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের কারণেই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, "আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সাবধান করতে চাই, এই জিনিস কিন্তু আমরা সহ্য করব না। বাংলার এক একটি মেয়ে মাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত আন্দোলন করে যাব, লড়ে যাব।"
শ্রীমতী মীনাক্ষী লেখি বলেন, মূল প্রশ্ন হল মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়ার পরেও বারবার কেন মহিলাদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে? পড়ুয়াদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত পরিবেশ হওয়া উচিত কলেজ, ক্যাম্পাস। আজও সিউড়ি পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত অধ্যক্ষকে রাস্তায় হেনস্থা করা হয়েছে। এই হল পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা। তিনি বলেন, " আজ পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি, আমরা বিরোধী প্রতিনিধি নই, আমরা জনতার প্রতিনিধি। আমাদের দাবি হল পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের ঘটনা হলে যাতে ঠিকভাবে তদন্ত হয় এবং দোষীদের কড়া শাস্তি হয়।"