মুখ্যসচিব হিসেবে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবারই ছিল তাঁর কর্মজীবনের শেষদিন। তার আগেই কেন্দ্রের কাছ থেকে চলে এল প্রয়োজনীয় অনুমোদন। প্রশাসনে দ্বিবেদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত আস্থাভাজন বলেই খ্যাত। তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি হওয়ায় পঞ্চায়েতের আগে প্রশাসনিক কোনও রদবদল করতে হচ্ছে না রাজ্য সরকারকে।
হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তা যাতে না হয় সেই চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি তুলেছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন,রাজ্যের আবেদনে যাতে সাড়া না দেওয়া হয়। যদিও বিজেপির তরফে তা স্বীকার করা হয়নি। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠরাও সে কথা মানতে নারাজ। কিন্তু হরিকৃষ্ণকে নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বাংলোয় থেকেও নিয়ম ভেঙে ১৬.৪ লক্ষ টাকা হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন খতিয়ে দেখছে বলে দাবিও করেছিলেন শুভেন্দু। সেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি।
আমলাদের মেয়াদবৃদ্ধির বিষয়টি দেখে প্রধানমন্ত্রীর অধীনস্থ কর্মিবর্গ দফতর। সেই দফতর থেকে এসেছে ছাড়পত্র। ৬ মাস মেয়াদ বেড়েছে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। ফলে নরেন্দ্র মোদীর অনুমতিতে বিষয়টি হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। আবার বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও এনিয়ে কোনও তথ্য নেই।
হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে শেষ মুহূর্তে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা। কারণ শুক্রবার তাঁর শেষ দিন হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছাড়পত্র আসেনি। কপ্টার-বিপর্যয়ে আহত মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে চিকিৎসাধীন। স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে ডেকে পাঠিয়ে আলোচনা সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিবেদীর মেয়াদবৃদ্ধি না হলে তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হত বলে খবর। যদিও এখন আপাতত ৬ মাস হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীই থাকছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে। যেটা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।