
সোমবার দুপুরে থেকে ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের কয়েক জন দেখা করেন অতিরিক্ত সিইও-র সঙ্গেও। বিক্ষোভকারী দাবি ছিল, কাজের চাপ কমাতে হবে। মৃতদের দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। অসুস্থদের বাদ দিতে হবে বিএলও তালিকা থেকে। নিয়োগ করতে হবে প্রযুক্তি সহায়তা কর্মীদের। এমন ১০ দফা দাবি তাঁরা জানান। এই অবস্থান চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। সিইও দফতরের সামনেই স্লোগান চড়ান বিএলও-দের একাংশ। সোমবারের এই প্রতিবাদের কারণের মধ্যরাত পর্যন্ত নিজের দফতরেই আটকে থাকতে হয় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে।
যদিও এই বিক্ষোভকারীদের ‘তৃণমূলপন্থী’ বলে দাবি করছে বিজেপি শিবির। রাত ১২টার সময়ও সিউও দফতরের সামনের রাস্তা ঘিরে বসে ছিলেন প্রতিবাদীরা। অবশ্য এনাদের মধ্যে খাতায়-কলমে তিন-চার জনই বিএলও। বাকিরা শিক্ষক। তাঁদের দাবি, বিএলও-র দায়িত্ব পাওয়া সহকর্মীদের সমর্থনেই এখানে এসেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বিজেপিকে সমর্থন করছে এবং তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এটা করছে। বিএলও আরও জানিয়েছে যে একজন বিএলওর উপর অনেক চাপ দেওয়া হচ্ছে যার কারণে তাদের অনেকেই অসুস্থ এবং অনেক বিএলও প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের দাবি, কাজের চাপ এতটাই বেশি যে কাজ শেষ করার জন্য সময় বাড়ছে কিন্তু বিজেপি নেতারা তা বলছেন না। হস্তক্ষেপ পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও ধীর করে দিচ্ছে।
এদিকে রাজ্যের সিইও-র ‘আটক’ থাকার খবর পেয়ে ময়দানে নেমে পড়ে বঙ্গ বিজেপিও। মধ্যরাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে সুরক্ষিত ভাবে দফতর থেকে বের করতে তৎপর হন সজল ঘোষ নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রতিনিধি দল। তখনই পারদ চড়ে তুঙ্গে। স্লোগান-পাল্টা স্লোগান, কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষে নেমে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি, দুই শিবির। ক্ষণিকের মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত হয়ে যায় যে আসতে হয় পুলিশ বাহিনীকেও। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে চলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। লালবাজার থেকে আনতে হয় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।