মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে প্রচুর হাঁটেন সেটা আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি। এই হাঁটার পিছনেই যে ফিট থাকার রহস্য রয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন একাধিকবার। অন্যদেরও তিনি হাঁটাহাঁটি করতে উৎসাহ দেন। তবে, একটা কথা জানলে অবাক হয়ে যাবেন। আর সেটা হল মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন ঠিক কতটা হাঁটেন। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট চলছে নিউটাউনে। মমতা রোজ কত পা হাঁটেন? সামিটের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফাঁস করলেন রিলায়েন্স কর্তা মুকেশ আম্বানি।
মুকেশ আম্বানি বলেন,'আমাদের মমতা দিদি-মমতা মানে বিজনেস, আর সেটা তাঁর হৃদয়ের অন্তর থেকে। তিনি প্রায় ১৪ বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন। মানে তাঁর পলিসি ও নেতৃত্বের কারণে বাংলা অনেক লাভবান হয়েছে। আমার প্রিয় মমতা দিদি, আপনার নামের মানে সহানুভূতি এবং সমবেদনা। কিন্তু দিদি, আপনার নামের সঙ্গে অক্লান্ত নেতাও যেতে পারে। মমতাদিদি আমাকে বলেছেন যে তিনি ৬৪০০০ পা হাঁটেন। আমি ও সজ্জন জিজ্ঞাসা করি প্রতি সপ্তাহে ৬৪০০০ পা? তখন উনি বলেন, না, প্রতিদিন ৬৪০০০ পা। তার মানে বুঝুন তাঁর ঠিক কতটা এনার্জি রয়েছে।'
মমতার হাঁটা নিয়ে যখন মুকেশ বলছেন তখন দৃশ্যতই বিস্মিত দেখাচ্ছিল রিলায়েন্স কর্তাকে। বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দালও।
৬৪ হাজার পা কত কিলোমিটার?
জানলে অবাক হবেন যে কলকাতা থেকে আশপাশের অনেক জেলা সদরের দূরত্ব যতটা, ঠিক ততটাই প্রতিদিন হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রী। ৬৪ হাজার স্টেপ প্রায় ৫০ কিলোমিটার। জানলে অবাক হবেন যে কলকাতা থেকে চুঁচুড়া বা চন্দননগরের দূরত্ব কম-বেশি ৫০ কিলোমিটার। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কতটা রোজ হাঁটেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোনার বাংলাকে 'সোলার বাংলা' তৈরি করার ঘোষণা শিল্পপতি তথা রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মালিক মুকেশ আম্বানির। তাঁর কথায়, "বাংলায় শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বাংলায় লগ্নির পরিবেশ ভালো। মমতা মানেই বিজনেস।" পাশাপাশি, বাংলায় দ্বিগুণ বিনিয়োগের ঘোষণা করেন আম্বানি। আরও ঘোষণা করেন, বাংলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ক্ষেত্র, এআই ডেটা সেন্টার তৈরি। জামদানি, মুর্শিদাবাদ, বিষ্ণুপুরী সিল্ককে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মালিক। কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের আর্থিক সাহায্য করে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ আম্বানি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদি আমাদের জন্য খুবই শুভ। তাঁর কারণে আজ জিও শুধু দেশে নম্বর ওয়ান ডেটা কোম্পানি নয়, সারা বিশ্বে নম্বর ওয়ান। যা প্রথম কলকাতা থেকে শুরু হয়। জিও এখন গ্রামে গ্রামেও পৌঁছে গেছে। ফাইভ জি স্কুলগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে। জিও বাংলায় প্রথম মাটির তলা থেকে কেবল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।"