আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ ও খুনের মামলার প্রধান অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার আদালতে দাবি করেছে, সে কোনও অপরাধ করেনি এবং কিছুই জানে না। মঙ্গলবার শিয়ালদা আদালতে অভিযুক্ত এই দাবি করেছে বলে সূত্রে জান গেছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, যাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তকে পরে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয়, কারণ কলকাতা হাইকোর্ট মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল।
সিবিআই সোমবার আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দেয়, যেখানে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান অবস্থায় ধর্ষণ) এবং ১০৩ (খুন) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে।
অভিযুক্তের আইনজীবী চার্জশিটে উল্লেখিত কিছু প্রমাণ, বিশেষত ছবি, এখনও হাতে পাননি বলে আদালতে দাবি করেছেন। পাশাপাশি, অভিযুক্তের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আবেদন করা হয়েছে। সিবিআই এও দাবি করেছে, তদন্তে অভিযুক্ত যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন না। পলিগ্রাফ পরীক্ষায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় সিবিআই নার্কো পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু অভিযুক্তের সম্মতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
সিবিআই এই মামলার তদন্তে কিছু ফরেনসিক ছবির উল্লেখ করেছে, যা অভিযুক্তের আইনজীবীর হাতে এখনও পৌঁছায়নি বলে আদালতে দাবি করা হয়। অভিযুক্তের পক্ষ থেকে মামলার স্থান পরিদর্শনের আবেদনও করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আইনজীবীরা পরবর্তী শুনানিগুলি ‘ইন-ক্যামেরা’ অর্থাৎ জনসমক্ষে নয়, একান্তে করার দাবি তুলেছেন।
অভিযুক্তকে আগেও পলিগ্রাফ পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল, তবে তার উত্তরগুলি তদন্তকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়, এবং তদন্ত এখন সিবিআইয়ের তত্ত্বাবধানে চলছে।