
অরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আপাতত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন। প্রসঙ্গত, যুবভারতী কাণ্ডের পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অব্যাহতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।
চিঠিতে অরূপ বিশ্বাস লিখেছিলেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্তের মর্মে আমি ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে আপনার কাছে অব্যাহতি চাইছি।’ ওই চিঠিতে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, গত ১৩ ডিসেম্বর লিওনেল মেসির যুবভারতীতে আগমনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ তদন্ত চান বলেই তিনি অব্যাহতি চাইছেন। সূত্রের খবর, অরূপ বিশ্বাসকে ক্রীড়া দফতরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির ইভেন্টকে কেন্দ্র করে যে নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, এদিন তার দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তবে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় অরূপ বিশ্বাস তিনটি দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন। ক্রীড়া মন্ত্রক থেকে তিনি অব্যহতি পেলেও বিদ্যুৎ ও আবাসন দফতর তাঁর অধীনেই রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর ‘গোট ট্যুরে’ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আসেন লিওনেল মেসি। সঙ্গে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ ও রড্রিগো ডি পল। কিন্তু হাজার হাজার টাকা দিয়েও দর্শকরা মেসিকে দেখতে পারেননি বলে অভিযোগ। মেসি মাঠ ছাড়তেই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া হয়, ভেঙে ফেলা হয় ব্যানার। তারপর ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় উন্মত্ত জনতা। মেসির সঙ্গে যুবভারতীতে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মেসির সফর ঘিরে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থার আবহে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্রীড়ামন্ত্রীর আচরণের দিকে। এই ঘটনার পর জানা যায় মঙ্গলবার ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দেন অরূপ বিশ্বাস।
জানা গিয়েছে, অরূপ বিশ্বাসের পদত্যাগের ইচ্ছেকে মর্যাদা জানিয়েই তাঁকে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর নিজের হাতেই রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তদন্ত চলাকালীন ওই দফতরের যাবতীয় কাজকর্ম মমতাই দেখবেন। তদন্ত শেষ হওয়ার পর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। তবে আপাতত ওই দফতর আর কাউকে দিচ্ছেন না।