বীরভূমের দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেউচা পাচামি প্রকল্প নিয়ে আন্দোলনকারীদের কী দাবি, তাই নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয় নবান্নে। গ্রামবাসীরা কী চাইছে তা জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী পাচামি খনি প্রকল্প নিয়ে কী চাইছে, তা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। দেউচা পাচামি কয়লা প্রকল্পবিরোধী উদ্যোগ কমিটির নেতা কুণাল দেব ও এবং অন্য আরও একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাদি হাঁসদা, জোসেফ মারান্ডি,মিষ্টি হেমব্রম, ধন সোরেনদের সঙ্গেই বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কী আলোচনা হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে?
আন্দোলনকারীদের তরফে মমতা জানানো হয়, গ্রামেরই একাংশ এই ধরনের প্রকল্প চাইছেন না। তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আপনারা না চান তাহলে ওই এলাকায় যে পাথরখাদানগুলো রয়েছে, সেগুলোও তো ক্ষতিকর। সার্বিকভাবে আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয় তারা তাঁদের নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন, তাঁরা যদি খনি প্রকল্প চান, তাহলে কীভাবে চাইছেন, প্যাকেজ হিসেবেই তাঁরা কী চাইছেন। খুব শীঘ্রই আন্দোলনকারীদের তরফের মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আকারে জানানো হবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজ আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, সমস্ত মিথ্যে মামলা তুলে নিতে হবে। পাথর খনি এলাকায় মাফিয়া চক্র যারা চালাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রামবাসীদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সরাসরি কথা বলে তাঁরা সঠিক ভাবে বুঝেছেন রাজ্য সরকার কী চাইছে। এটা গ্রামবাসীদের তাঁরা বোঝাবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের সমগ্র প্রকল্পটি বুঝিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডেউচা পাচামি খনি প্রকল্প হলে রাজ্য সরকার কী কী প্যাকেজ দিয়েছে এবং কী ভাবছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত বলেন আন্দোলনকারীদের। শুধু তাই নয়, গোটা প্রকল্পটি শিল্পের ক্ষেত্রে কতটা ইতিবাচক সেই বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী বোঝান আন্দোলনকারীদের।