ডিএ আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি কর্মীদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। এই বৈঠক থেকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। এছাড়াও তৃণমূলের কর্মচারীদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন৷ তবে এই বৈঠকে ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, কো-অর্ডিনেশন কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী সংগঠনগুলির কাউকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ।
কী কী সিদ্ধান্ত হল ? জানা গেছে, পদোন্নতির সুযোগ বাড়ানোর জন্য সেকশন অফিসার থেকে শুরু করে অ্যাডিশনাল সেক্রেটারির মতো পদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। এছাড়াও ৮, ১৫ ও ২৪ বছরের মাথায় CAS-এর সুবিধা পাবেন কর্মচারীরা।
হেলথ স্কিমের আওতায় যে সব সরকারি কর্মী ছিলেন তাঁদের ক্যাশলেস চিকিৎসার ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হল। এবার থেকে তাঁরা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাসলেশ চিকিৎসা করাতে পারবেন।
সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ডিএ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনাও করা হয়নি। আর তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ একাধিক সংগঠন। কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, 'এই বৈঠক থেকে মাথা ভারী প্রশাসন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা কাম্য নয়। আধিকারিকদের প্রোমোশনের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীরা তো ন্যায্য ডিএ দাবি করছেন। সেটা নিয়ে কোথাও কোনও কথা নেই। ফলে যাঁরা কর্মচারী প্রতিনিধি সেজে গিয়েছিলেন তাঁরা ভবিষ্যতে বলতে পারবেন তো যে, মহার্ঘ ভাতার দাবি নিয়ে বৈঠক করে এসেছেন?'
ডিএ নিয়ে অন্যতম মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, 'এই মিটিংয়ে আমাদের ডাকা হয়নি। আন্দোলনকারী-মামলাকারী কোনও সংগঠনকেও ডাকা হয়নি। আজ যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কর্মচারীরা আদৌ চিন্তিত নয়। আর প্রোমোশনের যে কথা বলা হয়েছে, সেগুলো শুধুমাত্র সেক্রেটারিয়েট লেভেলের। ডায়রেক্টরেট ও রিজিওনাল কর্মীদের কোনও সুবিধা হবে না। আসল যে বিষয়, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই শুনেছি। এক কথায় এই বৈঠক শেষের ফলাফল হল অশ্বডিম্ব।'
এই বৈঠক প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এই বৈঠকের কোনও সারবত্তা নেই। হেলথ স্কিমের জন্য সরকার টাকা বাড়িয়েছে ঠিকই তবে তা হাসপাতালগুলি গ্রাহ্য করলে হয়। কারণ, এই নিয়ে অতীতের অভিজ্ঞতা তিক্ত। আর বৈঠক কাদের সঙ্গে করা হল, কেন করা হল তাও জানা নেই। কর্মচারীদের দাবি হল মহার্ঘ ভাতা। আর সেটাকে সরকার না দেওয়ার জন্য যা যা করার সবই করছে।'