Advertisement

CP Manoj Verma: পুলিশকে না জানিয়েই শেষ মুহূর্তে সূচি বদল, মেসির অনুষ্ঠান নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ সিপির

কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আয়োজক শতদ্রু দত্তের যোগাযোগ নিয়ে সিপি জানান, এক সময় তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল। তখন মেসির থাকার কথা ছিল তাজ বেঙ্গল হোটেলে। কিন্তু পরে অনুষ্ঠান ও থাকার জায়গা বদলে যায়। মেসি শেষ পর্যন্ত তাজ বেঙ্গলের বদলে হায়াতে ওঠেন।

কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা।-ফাইল ছবিকলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Dec 2025,
  • अपडेटेड 3:07 PM IST
  • লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে দেশ-বিদেশে তীব্র সমালোচনা হয়েছে।
  • অনেক ক্রীড়াপ্রেমীই ১৪ ডিসেম্বরকে কলকাতার ক্রীড়া ইতিহাসে এক ‘কালো দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে দেশ-বিদেশে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। অনেক ক্রীড়াপ্রেমীই ১৪ ডিসেম্বরকে কলকাতার ক্রীড়া ইতিহাসে এক ‘কালো দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এবার যুবভারতী-কাণ্ডে নতুন করে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা। তাঁর অভিযোগ, মেসির অনুষ্ঠানসূচিতে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন আনা হলেও সে বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।

কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আয়োজক শতদ্রু দত্তের যোগাযোগ নিয়ে সিপি জানান, এক সময় তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল। তখন মেসির থাকার কথা ছিল তাজ বেঙ্গল হোটেলে। কিন্তু পরে অনুষ্ঠান ও থাকার জায়গা বদলে যায়। মেসি শেষ পর্যন্ত তাজ বেঙ্গলের বদলে হায়াতে ওঠেন। সেই পরিবর্তনের পর আর আয়োজকদের তরফে পুলিশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখা হয়নি বলেই দাবি মনোজ ভার্মার। তাঁর কথায়, অনুষ্ঠানসূচির শেষ মুহূর্তের বদল পুলিশকে না জানানোই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে।

উল্লেখ্য, যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে মেসির ভারত সফরের অন্যতম আয়োজক শতদ্রু দত্তকে শনিবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বিধাননগর মহকুমা আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

আগামী বছরে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন নিয়ে প্রস্তুতি কেমন, এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার জানান, যুবভারতীর ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক আগেই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় কোনও রকম ফাঁক রাখা হবে না। আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।

ভবিষ্যতে বড় আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে খেলোয়াড় ও দর্শকদের আস্থা ফেরানো সম্ভব কি না, এই প্রসঙ্গে সিপি বলেন, কলকাতা পুলিশের পেশাদারিত্ব আগেও বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। অতীতেও একাধিক বড় অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী দিনেও আন্তর্জাতিক স্তরের ইভেন্ট নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।

Advertisement

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বড়দিনের সময় কলকাতাজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে। মনোজ ভার্মা জানান, পার্ক স্ট্রিটের পাশাপাশি গোটা শহরেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ফিল্ড-লেভেলের অফিসার থেকে শুরু করে ডিসি ও ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হবে।

এদিনই বডিগার্ড লাইন্স গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে কলকাতা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ‘Annual Sports Meet 2025-26’। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রীড়া উৎসবের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক ও বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীরা।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement