রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের আবহের মধ্যেই বৈঠক। বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকে ছিলেন শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনও। বৈঠকের রাজ্যপাল বললেন, 'শিক্ষা সব দ্বন্দের বাইরে।'
কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের উপরে হামলার ঘটনায় রবিবারই কড়া বিবৃতি দিয়েছেন আনন্দ। নবান্নের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন। তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে তাঁর ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম যেমন রাজ্যপালকে তাঁর সীমারেখা মনে করিয়েছেন। তেমনই মদন মিত্রও আক্রমণ করেছেন আনন্দ বোসকে। সোমবার সকালে প্রকাশিত তৃণমূলের মুখপত্রে ‘রাজ্যপালকে বিজেপির ক্যাডার’ বলা হয়েছে। সেই আবহেই মঙ্গলবার শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপালের রাজভবনের বৈঠক হল।
গতবছর বাদল অধিবেশনে বিভিন্ন সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার। যদিও, তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলায়। বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেলেও, রাজভবনে তা আটকে রয়েছে, বিগত কয়েক মাস।
ধনখড় রাজ্যপালের পদ ছেড়ে গিয়ে দেশের উপরাষ্ট্রপতি হয়েছেন। তারপর অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে কয়েকমাস দায়িত্ব সামলেছেন লা গণেশন। সেই সময়তেও আচার্য সংক্রান্ত বিল ছাড়া হয়নি রাজভবন থেকে। আবার কয়েক সপ্তাহ আগে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আনন্দ বোস জানিয়েছেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে নিয়মে চলছিল, সেই নিয়মই বহাল থাকবে।
বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে আরও তিনমাস কাজ চালিয়ে যেতে। যেকোনও পর্বই হোক না কেন, যদি কোনও পর্ব থেকে থাকে তা অতীত। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। একসূত্রে কাজ করবে রাজভবন ও নবান্ন, বিকাশভবন। দুরত্ব থাকবে, একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়া থাকবে, কিন্তু সেগুলোকে অতিক্রম করতে হবে। ইউজিসি, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে কাজ হবে।' অন্যদিকে রাজ্যপাল বলেছেন, 'শিক্ষাকে যাবতীয় দ্বন্দের বাইরে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-বউবাজারে আবার বাড়িতে ফাটলের আশঙ্কা, খালি করার নির্দেশ দিল মেট্রো