বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ল্যান্ডফল করতে পারে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। সতর্কতা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। জেলায় জেলায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে অনেক জেলায়। সমুদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকার বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় ও পরে সাধারণ মানুষের কী করণীয় তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
নবান্নের তরফে হেল্পলাইন নম্বরও জানানো হয়েছে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা ও অসামরিক প্রতীরক্ষা বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ১০৭০ এই নম্বরে ফোন করলে সাহায্য মিলবে সরকারের তরফে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে কী করবেন? সরকার জানিয়েছে...
১) গুজব উপেক্ষা করুন। শান্ত থাকুন। আতঙ্কিত হবেন না।
২) মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখুন।
৩) রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্রের খবরে নজর রাখুন।
৪) আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অত্যবশকীয় জিনিস, খাবার, ওষুধ, জল ও পোশাক প্রস্তুত রাখুন।
৫) কোনও ধারালো বস্তু ও খোলা অবস্থায় রাখবেন না।
৬) নিরাপত্তার জন্য গৃহপালিত পশুদের খোলা ছেড়ে দিন। মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে বা নদীতে যাবেন না। নৌকা নিরাপদ জায়গায় বেঁধে রাখুন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী করবেন? যদি বাড়ির ভিতরে থাকেন তাহলে
১) বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাস সরবরাহের লাইন বন্ধ রাখুন।
২) দরজা জানলা বন্ধ রাখুন।
৩) খড়ের ঘর, কাঁচা বাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে থাকবেন না।
৪) যদি আপনার বাড়ি সুরক্ষিত না হয় তাহলে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে থাকুন।
বাড়ির বাইরে থাকলে
১) ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে প্রবেশ করবেন না।
২) যত দ্রুত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নিন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, 'দানা'-র গতিবেগ সর্বোচ্চ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। বুধবার থেকে বৃষ্টি হবে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়। একই সঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলার পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়।