বকেয়া ডিএ-সহ স্বচ্ছভাবে নিয়োগের দাবিতে কাল বুধবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। তাঁদের হুঁশিয়ারি বুধবার বাংলা অচল হবে। সরকারি কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করবেন। শিক্ষকদেরও কর্মবিরতি পালনের আহ্বান করা হয়েছে।
কেমন হবে কর্মবিরতি ?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে উপস্থিত থাকবেন সরকারি কর্মীরা। তবে তাঁরা কাজ করবেন না। এর আগে পেন ডাউন কর্মসূচি যেভাবে পালন করা হয়েছিল, সেভাবেই কর্মসূচি পালিত হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্মীরা অফিস যাবেন, হাজিরার খাতায় সই করবেন কিন্তু কোনও কাজ করবেন না।
এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, 'বৃহস্পতিবার পেন ডাউন কর্মসূচি পালিত হবে রাজ্যজুড়ে। রাজ্য সরকারকে আমরা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা কর্ণপাত করেনি। সরকারি কর্মীরা এবার তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি পালনের পরও রাজ্য সরকার যদি আমাদের দাবিগুলিতে কর্ণপাত না করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।' শুধু তাই নয়। ভবিষ্যতে দিনের পর দিন বনধ ডাকা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : '...ক্ষুদিরামও খিল্লি যোগ্য', 'প্যান্টি'-র লেখিকা সঙ্গীতার পোস্টে বিতর্ক
ভাস্কর ঘোষের কথায়, 'এতদিন আন্দোলন, অনশন করার পরও এই সরকার কর্মীদের কথা শুনছে না। এর পরিণতি ভালো হবে না। যে সরকারি কর্মীদের সাহায্যে সরকারটা চলছে, সেই কর্মীদেরই দিনের পর দিন বঞ্চনা করা হচ্ছে। রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা একের পর এক বিরূপ মন্তব্য করছেন। মুখ্যমন্ত্রীও চোর-ডাকাত বলেছেন। এটা সরকারি কর্মীদের অপমান।'
এদিকে বৃহস্পতিবার একাধিক ক্লাসের পরীক্ষা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ভাস্কর ঘোষ জানান, স্কুলে পরীক্ষা আছে সেই বিষয়ে তাঁরা অবগত। সেজন্য স্কুলের কাজ নিয়ম মাফিকই করবেন শিক্ষকরা। তবে স্কুলের কাজ শেষ হওয়ার পর তাঁরা কর্মবিরতি পালন করবেন।
বৃহস্পতিবারের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল জানান, এই কর্মবিরতিকে তাঁরা সমর্থন করছেন। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি হবে, সেজন্য তাঁদের পক্ষে কর্মবিরতি পালন করা সম্ভব নয়। তবে দিনটিতে প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। সব শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে স্কুলে ডিউটি পালন করবেন।