সামনেই দুর্গাপুজো। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অনেকেই আশা করেছিলেন পুজোর আগেই বকেয়া ৩১ শতাংশ DA (Dearness Allowance) পাবেন তাঁরা। এই নিয়ে এখন হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা চলছে। রায়দান স্থগিত রেখেছে মহামান্য হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনেছেন। এবং রায়দান স্থগিত রেখেছেন।
এখন যে মৌলিক প্রশ্নটা উঠছে তা হল সরকারি কর্মীরা কি পুজোর আগে DA পাবেন (মহার্ঘ ভাতা)? মানে পুজোর আগে কি মোটা টাকা ঢুকবে সরকারি কর্মীদের পকেটে? আইনজীবীদের একাংশের মতে, এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রায়দানের উপর। আর সেই রায় চলতি সপ্তাহেই দিতে পারে হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় দিতে পারে মহামান্য আদালত।
মামলাকরী সরকারি কর্মী সংগঠনের আশা রায় তাদের পক্ষেই যাবে। তবে তাদের এও আশঙ্কা, এই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও গড়াতে পারে। তার কারণ, ১৯ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সময়ের মধ্যে DA মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তারই মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও করে বসে রাজ্য সরকার। সেই মামলার রায় দানই স্থগিত রেখেছে হাইকোর্ট।
আবার মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আদালত অত্যন্ত সচেতনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন যে, কর্মচারীদের DA পাওয়াটা অধিকার। কিন্তু, এই সরকার DA না দিয়ে অকারণ সময় নষ্ট করছে। এবারের রায়ও কর্মীদের পক্ষেই যাবে।
এদিকে বিজেপি সমর্থিত সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল জানালেন, হাইকোর্ট তাঁদের পক্ষেই রায় দেবে এই ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত। তবে রাজ্য সরকার ফের দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। তবে সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হারবে। সেজন্য আইনি পথে যা করার সরকারি কর্মচারি পরিষদ করবে।
সুতরাং, পুজোর আগেই ডিএ বাড়বে না বলেই মনে করছে সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলো। তাদের আশঙ্কা, মামলাটিকে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় ব্যয় হবে সন্দেহ নেই। তবে সরকারি কর্মীরা DA পাবেনই।