ডিএ মামলার চূড়ান্ত শুনানি ২১ মার্চ মঙ্গলবার। সেদিনই বকেয়া ডিএ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। তবে বদল হয়েছে বিচারপতি। মাননীয় বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে উঠবে এই মামলা। মাননীয় বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের জায়গায় আগে ছিলেন হৃষিকেশ রায়। বিচারপতি বদল হওয়ায় কি মামলার নিষ্পত্তি হবে? ডিএ মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট ? প্রশ্ন সরকারি কর্মীদের মনে।
আইনজীবীদের দাবি, এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একজন বিচারপতি বদল হলেও ডিভিশন বেঞ্চের লিডিং জাজ মামলায় থাকবেন। এক্ষেত্রে মাননীয় বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী থাকছেন। সেই কারণে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মঙ্গলবারই এই মামলার চূড়ান্ত ফয়সলা হতে পারে। আবার এই মামলায় হলফনামা জমা দিয়েছে সবপক্ষ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো শর্টনোটও জমা পড়েছে। তাই রায়দান হওয়ার পথে কোনও বাধা নাও আসতে পারে। তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জানাবেন মাননীয় বিচারপতিরা।
মঙ্গলবারের এই মামলার দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের লাখ লাখ সরকারি কর্মী। মামলাকারী সংগঠন ও সরকারি কর্মীদের দাবি মঙ্গলবারই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় রাজ্য সরকারের দায়ের করা এসএলপি-ও খারিজ করে মামলা ডিসমিস করে দেবে বলেও মনে করছেন সরকারি কর্মীরা।
আরও পড়ুন : Firhad Hakim : কণ্ঠ আমার রুদ্ধ...', ডিএ নিয়ে বারবার 'বেঁফাস' ফিরহাদকে 'চুপ' করাল তৃণমূল?
এই বিষয়ে সরকারি কর্মচারী পরিষদের দেবাশিস শীল বলেন, 'একটা স্পেশাল লিভ পিটিশন নিয়ে প্রায় ৪ মাস কেটে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সরকার চক্রান্ত করে বারবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। একবার তো ১০০ টাকা ফি জমা না দিয়ে মামলা পিছিয়ে গেল। তবে আগের শুনানিতেই আমাদের আইনজীবী বাঁশরী স্বরাজ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন, মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তারপর মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরবর্তী শুনানিতেই নেওয়া হবে। তাই আমরা আশা করছি মঙ্গলবারই মামলার চূড়ান্ত ফয়সলা হবে।'
আর এক মামলাকারী সংগঠন কর্মচারী ইউনিয়ন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের আইনজীবীরা প্রস্তুত। তাঁদের ৯৯ শতাংশ আশা, মামলার নিষ্পত্তি মঙ্গলবারই হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এই মামলার শুনানিতে মাননীয় বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী মন্তব্য করেছিলেন, 'ডিএ দিলে রাজ্য সরকারের বোঝা বাড়বে, সে কথা ঠিক। কিন্তু ভারসাম্যেরও দরকার রয়েছে আর ডিএ মোটামুটি আইনি অধিকারের পর্যায়েই চলে গিয়েছে।'
উল্লেখ্য, পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে SAT ও হাইকোর্টে হেরেছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে SLP জমা করেছে রাজ্য।