Advertisement

তৃণমূল ছাড়ছেন দেবাংশু? হঠাত্‍ 'ইঙ্গিতপূর্ণ' ফেসবুক পোস্ট

তৃণমূলের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ে কী দলই ছেড়েদিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য ? বুধবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে তেমনই ইঙ্গিত। তবে কিছুক্ষণ পরেই সেই পোস্ট ডিলিট করছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অনেকের মতে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই যুব সংগঠনের সর্বোচ্চ কমিটি ঠিক করেছেন। আর সেই তালিকায় দেবাংশুর না থাকা আসলে অভিষেকেরই সিদ্ধান্ত।

Debangshu
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 30 Nov 2022,
  • अपडेटेड 7:19 PM IST
  • তৃণমূলের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ে কী দলই ছেড়েদিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য ?
  • বুধবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে তেমনই ইঙ্গিত।
  • তবে কিছুক্ষণ পরেই সেই পোস্ট ডিলিট করছেন তিনি।


তৃণমূলের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ে কী দলই ছেড়েদিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য ? বুধবার তাঁর ফেসবুক পোস্টে তেমনই ইঙ্গিত। তবে কিছুক্ষণ পরেই সেই পোস্ট ডিলিট করছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অনেকের মতে দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই যুব সংগঠনের সর্বোচ্চ কমিটি ঠিক করেছেন। আর সেই তালিকায় দেবাংশুর না থাকা আসলে অভিষেকেরই সিদ্ধান্ত।

এদিন দেখা যায় দেবাংশু ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, যুব তৃণমূল তিনি ‘লেফট’ করলেন। সেইসঙ্গে কেন তাঁকে হঠাৎ যুব ফ্রন্ট থেকে বাদ দেওয়া হল তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। 

এদিন যুব তৃণমূলের যে কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে সভাপতি হিসেবে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষই রয়েছেন। ১৬ জন সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন কমিটিতে। সেই তালিকায় নাম নেই দেবাংশুর।  

উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের বর্ষপূর্তির ঠিক আগেরদিন ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, 'গত বছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ, ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তাঁরা পিছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করেন দলের কর্মীরা।'

দেবাংশুর সেই পোস্ট ঘিরেও বিতর্ক শুরু হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে, গত বছর ২ মে থেকে তৃণমূলে যে নেতাদের ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে বা বাবুল সুপ্রিয়ের মতো যে নেতারা বিজেপি থেকে এসেছেন, তাঁদেরই কি নিশানা করেছেন দেবাংশু? যদিও সেই বিতর্কের মধ্যে সেই  পোস্টও ডিলিট করে দেন দেবাংশু। 

ফেসবুকে এই পোস্টটি করেন দেবাংশু, পরে যদিও এই পোস্ট ডিলিট করে দেন

সঙ্গে নয়া একটি পোস্টে লেখেন, ‘শেষ পোস্টের অর্থ হয়তো ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণে বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। বরং তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

Advertisement

এদিনের পোস্টটি নিয়ে আজতক বাংলার তরফে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাঁর প্রতিক্রিয়া পেলে এই প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।

আরও পড়ুন : গ্রামবাসীর বাড়িতে মমতার মাছ-ভাত আহার, জনসংযোগে BJP-র কৌশল?

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement