ট্রেন বা স্টেশন চত্বরে গুটখা, পানের পিক বা থুতু ফেলা অপরাধ। যাত্রীদের সতেচন করতে বিভিন্নভাবে প্রচারও করে থাকে রেল। প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন জায়গাতেও লেখা থাকে। তারপরেও সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গুটখার পিক বা থুতু ফেলে থাকেন বহু যাত্রী। কলকাতার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও এবার একই ছবি। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড শাখার প্রতিটি মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন জায়গায় গুটখার পিক ছিটিয়ে রয়েছে। সাদা মার্বেল লালচে খয়েরি হয়ে উঠছে। বাদ যাচ্ছে না এসক্য়ালেটারের সাইড ওয়ালগুলিও।
ঝাঁ চকচকে প্ল্যাটফর্মে এই গুটখার পিকের ছবি দেখে অনেক যাত্রীই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। যদিও, এই গুটখার পিক ফেলার পিছনে রয়েছে এই যাত্রীদের মধ্যেই একাংশ। তাঁরাই গুটখার পিক ফেলছেন। যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ, মেট্রো রেলের এই গুটখার পিক ফেলা রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাঁদের মতে, এখনই এনিয়ে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে নতুন নির্মাণ হওয়া মেট্রো স্টেশনগুলির হাল আগামীদিনে আরও খারাপ হবে। তাছাড়া এখনও, হাওড়া ময়দান থেকে সরাসরি সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পুরো মেট্রো চলছে না। তবে, খুব শীঘ্রই সেটাও চালু হয়ে যাবে। তাই স্টেশন যদি এখন থেকেই নোংরা করা হয়, তাহলে আগামীদিনে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীদের একাংশ।
গুটখা বা পানের পিক ফেলার বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই অভিযানে নামে পূর্ব রেল। হাওড়া ও শিয়ালদা বিভাগে অভিযান চালানো হয়। পিক ফেলা যাত্রীদের থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। ভারতীয় রেলের পেনাল্টিস ফর অ্যাক্টিভিটিস অ্যাফেক্টিং ক্লিননেস অ্যাট রেলওয়ে প্রিমিসেস আইনের ৩(বি)-তে অনুযায়ী, রেল চত্বরে থুতু ফেলা নিষিদ্ধ এবং ৪ ধারা অনুযায়ী এই নিয়ম ভঙ্গের জন্য ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা যায়।
গুটখা ও পানের পিক ফেলে স্টেশন নোংরা করার বিষয়ে কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির বদল ঘটাতে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে। স্টেশন নোংরা করার পিছনে যাত্রীদের একাংশ দায়ী। কলকাতা মেট্রো কলকাতার গর্ব। এটাকে সুন্দর রাখতে আমরা যাত্রীদের সাহায্য চাইছি। ভবিষ্যতে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।