Advertisement

Dengue: বাংলাদেশি মশা 'সাইলেন্ট স্প্রেডার', চিন্তায় রাজ্য, সীমান্তে স্পেশাল ব্যবস্থার প্রস্তাব

বাংলাদেশের মানুষ ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যে ঢুকলে এখানকার মশারাও ওদেশের মারণ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য কলকাতা পুরসভা ওই প্রস্তাব দিয়েছে। বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগণা ইত্যাদি জায়গায় ওই উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে খবর। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করার পরই আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ৬ দিনের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। 

সুকমল শীল
  • কলকাতা ,
  • 28 Jul 2023,
  • अपडेटेड 12:46 PM IST
  • বাংলাদেশে ডেঙ্গি কার্যত মহামারীর চেহারা নিয়েছে।
  • রোজই মৃত্যুর খবর মিলছে।
  • যেকারণে চিন্তার ভাঁজ এরাজ্যের প্রশাসনিক মহলেও।

বাংলাদেশে ডেঙ্গি কার্যত মহামারীর চেহারা নিয়েছে। রোজই মৃত্যুর খবর মিলছে। যেকারণে চিন্তার ভাঁজ এরাজ্যের প্রশাসনিক মহলেও। সীমান্তবর্তী এলাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকারি ভাবে এখনও স্পষ্ট করা না হলেও, বেসরকারি মতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা সাত। ফলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ করা খুব জরুরি। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গু জীবাণু নিয়ে কেউ সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কী না, তার ওপরে নজর রাখতে সীমান্তের অভিবাসন কেন্দ্রগুলিতে ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। কারণ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার পরে এবার পশ্চিমবঙ্গেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। 

তথ্য বলছে, পৃথিবীতে ৩৯ কোটি মানুষের প্রতিবছর ডেঙ্গি হয়। এরমধ্যে ৯ কোটি ৬০ মানুষের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায়। বাকিদের কোনও উপসর্গ থাকে না। তারা অন্য জায়গার মশার মধ্যে ডেঙ্গি ছড়ায়। সেরকমভাবেই বাংলাদেশের মানুষ ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যে ঢুকলে এখানকার মশারাও ওদেশের মারণ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য কলকাতা পুরসভা ওই প্রস্তাব দিয়েছে। বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগণা ইত্যাদি জায়গায় ওই উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে খবর। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করার পরই আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ৬ দিনের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। 

কী ব্যবস্থা নিলে সুবিধে?
কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবীদ দেবাশিস বিশ্বাস বললেন, '৬ দিন ডেঙ্গির জীবানু শরীরে থাকে। তারপর থেকেই অ্যান্টিবডি তৈরি হতে থাকে। তখন মশা কামড়ালে মশার শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। তবে কলকাতার পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। জানুয়ারি থেকে কাজ চলছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। কলকাতায় সবথেকে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি ছিল ১৯৬৩ সালের জুলাই মাসে। একলক্ষ মানুষ জ্বরে ভুগেছিল। ৫০০ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তখন কলকাতা পুরসভার কাছে অত পরিকাঠামো ছিল না। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি হবে না। কলকাতা পুরসভার মতো পরিকাঠামো কোথাও নেই।'

Advertisement

এদিকে, রাজ্য প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি পুরসভা এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান করার। ১২৯টিপুরসভা এলাকায় প্রতি সপ্তাহে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পদ্ধতি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত, তা চলবে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একই ভাবে চলবে মশার লার্ভা নষ্ট করার প্রক্রিয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যপ্রতিটি পুর এলাকায় ৬২৪টি বিশেষ দল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

জানা গেছে, রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি দমনে মাঠে নামতে চলেছেন ৯ হাজার চিকিৎসক, প্যারা মেডিক্যাল কর্মী। রাজ্যের যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি, সেখানে ডেঙ্গি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকেও ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেড তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার ফিভার ক্লিনিক খোলা হবে।


 

 

TAGS:
Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement