'পিকনিক সবাই করতেই পারেন। তাছাড়া বিজেপিতে মাছ-মাংসও খাওয়া হয়। দলীয় দফতরে রান্না হয়। দলের বৈঠকে মাছ ভাত, মাংস ভাত বা বিরিয়ানিও হয়। সর্বভারতীয় নেতারা নিরামিষ খান, তাঁদের খাওয়ার বাড়ি থেকে আসে। বাংলায় খাওয়া নিয়ে কোনও চিন্তা নেই, যে যেটা ইচ্ছে খেতে পারেন।' শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে বিজেপির বিক্ষুব্ধদের পিকনিককে ঘিরে প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এমনটাই সাফাই দিলেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্দরে অসন্তোষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কিছু মানুষ বরাবরই ক্ষুব্ধ-বিক্ষুব্ধ থাকেন। পরিবর্তন হওয়ার পর যতক্ষণ না পুরোপুরি নতুন নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণে আসছে ততক্ষণ কিছু সমস্যা থাকে। যাঁরা এরকম থাকেন তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বোঝানো হয়, যোগ্য কাজ দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়াটাই চলছে।'
এদিকে এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা সমাজবাদী পার্টির (SP) নেতা কিরণময় নন্দর। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কিরণময় নন্দ নতুন নন, বহু পুরনো রাজনীতিবিদ। কিন্তু তিনি কেন দিদির কাছে আসছেন? দিদি নিজেই গিয়েছেন ভাইয়াজির কাছে। কিন্তু তখন কোনও লাভ হয়নি। এখন হয়ত অখিলেশ যাদবের মনে হয়েছে যে অন্যর সাহায্য লাগবে, না হলে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উত্তরপ্রদেশে গিয়ে কী সাহায্য করতে পারবেন? গোয়াতে যা হয়েছে এখানেও তাই হবে।' একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abishek Banerjee) গোয়া সফরকে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলেন, 'এখানে দলে যে ধরনের মারামারি শুরু হয়েছে, তাতে কিছুদিন গোয়ায় ঘুরে এলে মনটা ভাল থাকবে।'
করোনা (Corona) সংক্রমণ নিয়েও রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,'সংক্রমণ কম দেখানোর জন্য টেস্ট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা চ্যাম্পিয়ান হয়ে গিয়েছিল করোনায়। তাই বাংলার মুখ রক্ষার জন্য তথ্যকে কমবেশি করে দেখান হচ্ছে।'