তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে এবার নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, একজন সাংসদ মাথায় সিঁদুর দিলেন, রথ টানলেন এখন বলছেন বিয়েই করেননি। বসিরহাটের মানুষ ভাবুক কাকে ভোট দিয়েছেন। বাংলার রাজনীতি এরা কত নিচে নামাবে? একজন সাংসদ বিয়ে না করেই গর্ভবতী?মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে তার বিয়েতে গেলেন, যিনি বলছেন বিয়েই করেননি। বাংলার মানুষকে কত বোকা বানানো হবে?
নুসরতে বিয়ে না করার দাবি ঘিরে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিনোদন থেকে শুরু করে সেই আঁচ রাজনীতিতেও পড়েছে। তারপরেই বিজেপির তরফ থেকে একের পর এক নিশানা করা হয়েছে। কি সংসদে দাঁড়িয়ে নুসরত কি নিজের মিথ্যে পরিচয় দিয়েছিলেন, ভিডিও ট্যুইট করে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। লোকসভার ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে নুসরত বিবাহিতা। সেখানে লেখা, তিনি বিয়ে করেছেন ২০১৯ সালের ১৯ জুন। স্বামীর নাম নিখিল জৈন। শুধু তাই নয়, নুসরত জাহানের বিয়ের তারিখ হিসাবে লেখা রয়েছে ১৯শে জুন ২০১৯ এবং তাঁর স্বামী হিসাবে জ্বলজ্বল করছে নিখিল জৈনের নাম। এই নিয়েই ট্যুইটে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। বিজেপি নেতা পোস্টে লিখেছেন, "তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান রুহির ব্যক্তিগত জীবন, তিনি কাকে বিয়ে করেছেন না সহবাস করেছেন, এটা নিয়ে কারও আগ্রহ নেই। কিন্তু তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সংসদের নথি বলছে তিনি নিখিল জৈনকে বিয়ে করেছেন। তাহলে কি লোকসভা দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলেন সাংসদ?" প্রশ্ন তুলেছেন অমিত মালব্য। এনিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি
প্রসঙ্গত বিয়ে সম্পর্কে নুসরত জাহান জানিয়েছেন, তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে এই অনুষ্ঠান অবৈধ। সেই সঙ্গে হিন্দু-মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ে করা উচিত। যা এ ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ফলত, এটা বিয়েই নয়। একটি বিবৃতি দিয়ে নায়িকা বলেন,"তুরস্কের বিবাহ বিধি অনুযায়ী বিয়ের অনুষ্ঠানটি অবৈধ। অপরন্তু, যেহেতু এটি একটি আন্তঃধর্মের বিয়ে ছিল, তাই এটির জন্য বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বৈধতা প্রয়োজন। ভারতে, যা ঘটেনি। আইনত এটি বিয়ে নয়, সম্পর্ক বা লিভ-ইন সম্পর্ক। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।"