স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলের মৃত্যুতে শোকাহত দিলীপ ঘোষ। সৃঞ্জয়ের উপর তাঁর একটা মোহ তৈরি হয়েছিল বলেই জানিয়েছেন BJP নেতা। ফলে তাঁর অকাল প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন তিনি। তবে সৃঞ্জয়ের (ডাকনাম প্রীতম) ড্রাগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল বলে দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।
ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। মৃত্যুর কারণ অস্বাভাবিক নয় বলেই জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা। অ্যাকিউট হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিসই মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ। অত্যাধিক প্রদাহের কারণে অগ্ন্যাশয়ের ভিতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, সেটিকেই চিকিৎসা পরিভাষায় অ্যাকিউট হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সৃঞ্জয়ের শরীরের একাধিক অন্ত্র স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর কিডনিতেও প্রভাব পড়েছিল। রক্তচাপের সমস্যা ছিল বলেও খবর।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ড্রাগের সমস্যা ওঁর আগে থেকেই ছিল। কাউন্সেলিং চলছিল। অফিসের ডাক্তার দেখত ওঁকে। হঠাৎ করে কেন হল, কী হল রিপোর্ট এলে বুঝতে পারব। প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে।' তাঁর সংযোজন, 'একটা তরতাজা ছেলে এভাবে চলে গেল। আজকের যুবসমাজের মধ্যে নেশার যে কী প্রভাব, এটা তার একটা নমুনা। ঠিক কী হয়েছিল বলার আগেই তো ছেলেটা শেষ হয়ে গেল। আমাদের সবার কাছে এটা একটা বড় শিক্ষা। আমাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে! তাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। তারপরেও বড় ঝুঁকি থেকে যায়। এটাই চিন্তার বিষয়।'
রিঙ্কু মজুমদারও জানিয়েছিলেন, প্রীতম স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। ওষুধও খেতেন। গত বছর অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছিলেন না।
প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। আত্মহত্যা করেছেন প্রীতম? উঠেছিল হাজার প্রশ্ন। ফলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সৃঞ্জয়ের ময়নাতদন্ত করা হয়। যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে কোনও ফাউল প্লে নেই। অ্যাকিউট হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিসই মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ। অত্যাধিক প্রদাহের কারণে অগ্ন্যাশয়ের ভিতরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হয়, সেটিকেই চিকিৎসা পরিভাষায় অ্যাকিউট হেমারেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস বলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সৃঞ্জয়ের শরীরের একাধিক অন্ত্র স্বাভাবিকের তুলনায় বড় ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর কিডনিতেও প্রভাব পড়েছিল। রক্তচাপের সমস্যা ছিল বলেও খবর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ, মৃতের শরীরে বাইরে থেকে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিকভাবে তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে। তবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে ধোঁয়াশাগুলো আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।