দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের রহস্যমৃত্যু। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন প্রীতম। তবে পুলিশের তরফে গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবারই সৃঞ্জয়ের দেহের ময়নাতদন্ত হতে পারে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
পেশায় আইটি কর্মী সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতম সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। থাকতেন নিউটাউনের শাপুরজি এলাকায়। গত ১৮ এপ্রিল দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর মা রিঙ্কু মজুমদারের বিয়ে হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না প্রীতম। সে সময়ে অফিসের ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ এবং মায়ের অনুরোধেই সেই ছুটি বাতিল করেননি। মায়ের সঙ্গে BJP নেতার বিয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক থেকেই দেখেছিলেন প্রীতম। সেক্ষেত্রে বিয়ের অনুষ্ঠানের ঠিক ২৫ দিনের মাথায় কেন এমন অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্বন উঠছে।
মায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বিয়ে, অথচ সে বিয়ের আসরে তিনি নেই বলে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু প্রীতম সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে সাফ জানিয়েছিলেন, অত্যন্ত খুশি মায়ের জন্য। BJP-র এই নেতার সঙ্গে তাঁর মায়ের বিয়ে হওয়ায় আরও বেশি করে দিলীপ ঘোষের সান্নিধ্যে থাকতে পারবেন বলেও খুশি ছিলেন তিনি। দু’জনেই একই মতাদর্শে বিশ্বাসী তাই ব্যক্তিগত জীবনে দিলীপ এবং রিঙ্কু খুশি থাকবেন বলেই মনে করছিলেন প্রীতম। সেক্ষেত্রে তাঁর আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্য কোনও বড় কারণ রয়েছে কি না, তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। কোনও রকম মানসিক রোগে তিনি ভুগছিলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
দিলীপ ঘোষের হাত ধরে কি তিনিও ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যোগ দেবেন? প্রীতম জানিয়েছিলেন, সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা তেমন ভাবে নেই। তবে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত। সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে তাঁরও। দিলীপের থেকে এ বার নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজসেবা শেখার সুযোগ আসবে, এটাও তাঁর কাছে বড় পাওনা ছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রীতম। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আপন করে নিয়ে বাবা বলে ডাকার ইচ্ছেপ্রকাশও করেছিলেন রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে।