Advertisement

মৃত তরুণী ডাক্তারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যাবে না: হাইকোর্ট

আরজি করের নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এবার বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে।

মৃত তরুণী ডাক্তারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যাবে না: হাইকোর্ট
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 16 Aug 2024,
  • अपडेटेड 1:05 PM IST
  • নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এবার বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট
  • নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত

আরজি করের নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এবার বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। বুধবার ১৪ অগাস্ট রাতে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় নতুন করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে সেই আবেদনের শুনানি হয় শুক্রবার।

মামলার সওয়াল জবাবে একজন আইনজীবী বলেছিলেন যে নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। এটা বন্ধে নির্দেশ দেওয়া উচিত। জবাবে আদালত বলে, 'আমরা সবাইকেই অনুরোধ করছি যাতে নির্যাতিতার ছবি, নাম, পরিচয় এবং বিশদ প্রচার না করা হয়। আমরা সংবাদপত্র এবং মিডিয়াকেও অনুরোধ করছি যাতে রিপোর্টে মৃতের পরিচয় বা ছবি প্রকাশ না করা হয়। এই বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে।'

১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। আরজি করে ভাঙচুর এবং যন্ত্রপাতি নষ্ট করার চেষ্টা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটা রাজ্যের ব্যর্থতা। পুলিশ নিজেকে রক্ষা করতে পারছে না। জনতাকে ঠেকাতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা কীভাবে রক্ষা করবে? ভবিষ্যতে এমন কোনও ঘটনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কী পদক্ষেপ করবে? সেটাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

সরকারি কৌঁসুলি এ দিন জানান,'ওই দিন পুলিশ মোতায়েন ছিল। একসঙ্গে ৭ হাজার লোক জড়ো হয়ে গিয়েছিল। এরপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। আহত হয় পুলিশ। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে'। এটা রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে মনে করছে আদালত।

প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, 'সাধারণত বেশি ভিড় যেখানে থাকে সেখানে বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ৭ হাজার লোক ঢুকেছে বললে রাজ্যের ব্যর্থতাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। এটা রাজ্য প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ডাক্তাররা কীভাবে নির্ভয়ে কাজ করবেন?' রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি দাবি করেছেন, যে স্থানে অপরাধ সংগঠিত হয়েছিল সেটা নিরাপদ। ভাঙচুরের যে কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঘটেনি। এরপরই আদালতের কড়া পর্যবেক্ষণ,'সব রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হোক। এই হাসপাতাল বন্ধ করুন। সবাই নিরাপদ থাকবে। হাসপাতাল বন্ধ করে দিন...সেটাই ভাল হবে।'

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement