মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন। তিনি রোজ নিয়ম করে হাঁটেন। তাঁর খাওয়া দাওয়াও পরিমিত। নিজেকে ফিট রাখতে চান সব সময়। সেজন্য মুড়ি, বাতাসা, চানাচুর, চকোলেট খান। এর আগেও একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে র সভা থেকে নিজেকে ফিট রাখার আরও একটি কৌশল জানালেন।
মঙ্গলবার জয়নগরে সরকারি সভা ছিল। সেখানে নেতা, মন্ত্রী, আমলারা উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে। কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী ফাঁস করেন নিজের ফিটনেস রহস্য। তিনি বলেন, 'আপনাদের জয়নগরের বিধায়ক আমাকে অনেক জয়নগরের মোওয়া দেয়। আর আমি নিজে সেগুলো সবাইকে দিয়ে দিই। মোয়া খেলে তো মোটা হয়ে যাব।' অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন তিনি মিষ্টি যতটা পারেন কমই খান। নিজেকে ফিট রাখতে এমনই খাদ্যাভাস তাঁর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'বারুইপুরের বিভাস। ওর অনেক বড় ফলের বাগান আছে। আমাকে অনেক ফল পাঠায়। ও যত ফল পাঠায়, আমি তত লোককে দিয়ে দিই। ওরা ভাবে দিদি বোধহয় খাবে। কিন্তু দিদি তো সকালে খায় সামান্য কিছু। আর একবার রাত্রে খায়। তাছাড়া দিদি অন্যকিছু খায় না। এটা আজকের নয় অনেকদিনের। কিন্তু আজ আমরা এখানে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি এজন্য যে, জয়গনরের মোয়া জিআই পেয়েছে। সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। তাই আমি জয়নগরের সব মানুষকে, কারিগরকে , দোকানদারদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের জন্যই এই স্বীকৃতি পাওয়া সম্ভব হয়েছে।'
জয়নগরের মোয়ার প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, এই মোয়া বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে রাজ্য সরকারের তরফে মোয়া হাব খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ হবে। আর তা দেশে-বিদেশে বিক্রি হবে।
প্রসঙ্গত, জয়নগরের মোয়া হল খই, খেজুর গুড় ও গাওয়া ঘি দিয়ে তৈরি হয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর শহর এই মিষ্টির জন্য খুব বিখ্যাত। জনশ্রুতি অনুসারে শ্রীচৈতন্যদেব স্বয়ং এই মোয়া খেয়ে খুব প্রশংসা করেন। তারপর থেকেই এই মোয়া জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জয়নগরের মোয়া প্রস্তুতকারকরা তখন থেকেই ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এই মোয়া তৈরি করতে থাকেন।