Advertisement

Durga Puja 2021 : আবাসনে পুজো তাই কাজে বিরতি, মনে বাজছে 'ঘরে ফেরার গান'...

Durga Puja 2021: কর্মসূত্রে যাঁরা দেশের অন্য জায়গায় বা বিদেশে থাকেন, তাঁরাও শুধুমাত্র আবাসনের পুজোর আন্তরিক পরিবেশের টানে এখানে ছুটে আসেন।

পঞ্চশীল বাটিকার গত বছরের দুর্গাপ্রতিমা
অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 30 Sep 2021,
  • अपडेटेड 2:20 AM IST
  • সারা বছর বাইরে থাকতে হয়
  • তবে পুজোর সময় সে নিয়মে ছেঁদ
  • সব কিছু ছেড়েছুড়ে তাঁরা চলে আসেন বাড়িতে

Durga Puja 2021: সারা বছর বাইরে থাকতে হয়। তবে পুজোর সময় সে নিয়মে ছেঁদ। সব কিছু ছেড়েছুড়ে তাঁরা চলে আসেন বাড়িতে। আর পরিবার-বন্ধু-আবাসিকদের নিয়ে মাতেন পুজোর আনন্দে। বিরাটির পঞ্চশীল বাটিকা আবাসনে এমনই ছবি থাকে। 

সকলে মিলে হইহই
ষষ্ঠতম পুজো এবার তাঁদের। সকলে মিলে হই হই করে পুজো করাই এখানকার সংস্কৃতি। ফলে আবাসনের অধিকাংশ বাসিন্দাই পুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকেন। আর কর্মসূত্রে যাঁরা দেশের অন্য জায়গায় বা বিদেশে থাকেন, তাঁরাও শুধুমাত্র আবাসনের পুজোর আন্তরিক পরিবেশের টানে এখানে ছুটে আসেন।

উৎসব শুরু
একমাসেরও বেশি আগে, অগাস্টের ২২ তারিখে ধুমধাম করে খুঁটিপূজোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে গেছে পঞ্চশীল বাটিকা আবাসনের পুজোর ঢাক-বাদ্যি! আবাসনের পুজো কমিটির কার্যকরী সভাপতি পূর্ণেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, 'পুজোয় আনন্দ হবে ঠিকই। তবে তা কড়া কোভিড বিধি মেনে। ইতিমধ্যে প্রশাসন থেকে যে নির্দেশাবলী আমরা হাতে পেয়েছি, সে বিষয়ে আলোচনা ও প্রস্তুতিও সারা'।

সবুজের ছড়াছড়ি
এমনিতেই আবাসনের পরিবেশ অতি মনোরম। সবুজ ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণের চোখ জুড়ানো পরিবেশের মাঝে মনে হয় যেন শৈল্পিক ভাবে বসানো আছে আবাসনের এক একটি ব্লক।

আর তার ঠিক একপ্রান্তে কিন্ত মধ্যিখানে একচালা প্রতিমা ও সাবেকি সজ্জায় যখন সেজে উঠবে পুজোমণ্ডপ, তখন তা যে একটি সবুজ গ্রামীণ স্নিগ্ধতার খোলা হাওয়া ছড়িয়ে দেবে সমস্ত আবাসন জুড়ে।

আলোর মালা
ইতিমধ্যেই আবাসনের ন'টি ব্লকেই আলোরমালা দিয়ে সাজানোর কাজ সম্পূর্ণ। মণ্ডপ সজ্জার কাজও চলছে জোরকদমে। পুজোর যুগ্ম সম্পাদক-এর একজন তারক চক্রবর্তীও সভাপতির সুরে বললেন, 'সবই হবে, কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ভাবে। তাছাড়া বাঙালির পুজো মানে আড্ডা। সেটা তো দিতে পারবো সামাজিক বিধি মেনে চুটিয়ে'।

Advertisement

সেখানকার আরও এক কর্মকর্তা জয়দীপ চক্রবর্তী বলছিলেন, 'আমরা পুজোর চারদিন একসাথে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। এবারও ইচ্ছে আছে। কিন্তু সেটা একসঙ্গে বসে না প্য়াকেটবন্দি, সেটা তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী।'

নজরে ওঁরাও
আবাসনে রয়েছে বড়সড় কমিউনিটি হল। আর এই কমিউনিটি হলের পাশেই খোলা জায়গায় পুজোমণ্ডপ। কথা হচ্ছিল আবাসনে জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে। বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত এই মানুষটি বললেন, 'বাইরে থেকে যে সমস্ত মানুষ প্যান্ডেল বা আলোর কাজ করতে আসছেন, তারা যথাযথ ভ্যাকসিন নিয়েছেন কিনা, সে ব্যাপারেও আমরা খোঁজখবর রাখছি। প্রয়োজনে তাদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থাও করছি আমরা'।

আনন্দের বাইরে
একই সঙ্গে পঞ্চশীল বাটিকার সামাজিক কাজকর্মের কথা তুলে ধরেন তিনি। কথা বলতে বলতেই আমরা পৌঁছে গেলাম আবাসনের পাঠাগারে। সেখানে তখন জোরকদমে মহড়া চলছে অনুষ্ঠানের। সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনোজ পাত্র বললেন, 'শিশুরা মুখিয়ে থাকে পুজোয় কিছু করার জন্য। বিশেষ করে নাটক। সামাজিক দূরত্ব মেনে কিছু অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তা অবশ্যই রাত দশটার মধ্যে শেষ হবে।'

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement