ষষ্ঠী আর সপ্তমী কেটেছে নির্বিঘ্নেই, বৃষ্টি হয়নি। ছাতা ছাড়াই দিব্যি দু'দিন কেটে গিয়েছে। তবে অষ্টমীতে প্যান্ডেল হপিংয়ের প্ল্যান বিগড়ে দিতে পারে আবহাওয়া। আলিপুরের ইঙ্গিত তেমনটাই। মঙ্গলবারই উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। বুধ অর্থাৎ নবমীর মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিত হবে। কেমন খেল দেখাবে সেই নিম্নচাপ?
নিম্নচাপের প্রভাব কোন কোন দিন?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নবমী থেকে কলকাতা এবং শহরতলী এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। দশমীতে ভারী বৃষ্টিপাতের ইঙ্গিত মিলেছে হাওয়া অফিসের ওয়েদার বুলেটিনে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
অষ্টমীতে ভিজবে কোন কোন জেলা?
ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হলেও অষ্টমীতে কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে এদিন বৃষ্টি হতে পারে হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে এই সব জেলায়।
কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?
অষ্টমীতে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার ভোরে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৩ ডিগ্রি বেশি। এ দিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ছিল ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৩ শতাংশ। ফলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গলদঘর্ম হয়েছে মানুষ।
নবমী-দশমীর পূর্বাভাস
শেষবেলায় ফের খেল দেখাবে আবহাওয়া। নবমী থেকে একাদশী পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, হুগলি এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। এই ৪ জেলার জন্য কমলা সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।