দুর্গাপুজোর উৎসবপ্রেমী মানুষের যাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন হয়, তার জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতর বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পঞ্চমী থেকেই শুরু হবে সারারাত সরকারি বাস পরিষেবা। কলকাতা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন হাওড়া, শিয়ালদা এবং বারাসাতকে কেন্দ্র করে এই বাস পরিষেবা চালু হবে। পুজোর দিনগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবারও সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়াও, পরিবহণ দফতর এ বছরও দর্শনার্থীদের জন্য পুজো পরিক্রমার বিশেষ প্যাকেজ নিয়ে এসেছে। ষষ্ঠী থেকে শুরু হবে এই বিশেষ পরিষেবা, যেখানে দর্শনার্থীরা কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বনেদি বাড়ির পুজো এবং অন্যান্য বিখ্যাত পুজো দেখতে পাবেন। এই পরিক্রমায় ব্যবহার করা হবে বিলাসবহুল ভলভো বাস, সাধারণ বাস, এমনকি জলপথে লঞ্চও।
প্যাকেজের বিশদ বিবরণ:
ভলভো বাসে বনেদি বাড়ির পুজো: শোভাবাজার রাজবাড়ি, বেলুড় মঠ, সাবর্ণ রায়চৌধুরীর বাড়ি এবং বেহালার সোনার দুর্গা বাড়ির পুজো দেখার জন্য ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত ভলভো এসি বাস ছাড়বে এসপ্ল্যানেড থেকে। প্রতিজনের ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ২০০০ টাকা। এতে জলখাবার এবং লাঞ্চও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
লঞ্চে উত্তর কলকাতার পুজো পরিক্রমা: মিলেনিয়াম পার্ক থেকে লঞ্চে চড়ে উত্তর কলকাতার বিখ্যাত পুজো দেখানো হবে। এই ভ্রমণের সময়সীমা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। এর জন্য ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৮০০ টাকা।
গ্রাম বাংলার পুজো: শহরের বাইরের ঐতিহ্যবাহী পুজো দেখার জন্য ধান্যকুড়িয়া ও আড়বালিয়ার সাবেকী পুজো দেখানোর ব্যবস্থাও থাকবে। এসি বাসে এই সফরের খরচ হবে ২০০০ টাকা।
নন-এসি বাসে পুজো পরিক্রমা: হাওড়া সিটিসি টার্মিনাল, টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো, বারাসাত কলোনি মোড় এবং বারাকপুর থেকে ছাড়বে নন-এসি বাস, যেগুলি কলকাতার বিভিন্ন বিখ্যাত পুজো দেখাবে। অষ্টমীর দিন সকালে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটির পুজো দেখতে নন-এসি বাসে যাওয়ার সুযোগও থাকবে, যার খরচ ৮০০ টাকা।
বুকিংয়ের জন্য সহজ ব্যবস্থা:
ডব্লিউবিটিসি-র সাইটে গিয়ে সহজেই প্যাকেজের বুকিং করা যাবে। এছাড়াও ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপে (৯৮৩০১৭৭০০০) যোগাযোগ করেও টিকিট বুকিং করা সম্ভব। পাশাপাশি, পরিবহণ নিগমের সমস্ত ডিপো থেকেও বুকিং করা যাবে। পুজোর আনন্দ যাতে সকলেই পূর্ণমাত্রায় উপভোগ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এ বছরও পরিবহণ দফতর এই উদ্যোগগুলি গ্রহণ করেছে।