এবছর নজিরবিহীনভাবে মহালয়ার পর থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়ে গেছে। শনিবার থেকেই বিভিন্ন প্যান্ডেলে মানুষের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। শ্রীভূমি স্পোর্টিং, চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘের মতো নামকরা পুজোগুলি আগেভাগেই দেখে রাখছেন উৎসাহী দর্শনার্থী। তাছাড়া পুজোয় আলোয় আলোকিত তিলোত্তমার বুকে ঘুরে বেড়ান অনেকে। রাতভর আড্ডা, খাওয়াদাওয়া। তবে এই আনন্দ উৎসবে যাতে কোনওভাবেই নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য ময়দানে কলকাতা পুলিশও। পুজোর দিনগুলিতে শহরে চলবে কড়া নজরদারি।
চতুর্থী থেকে সেই নজরদারি আরও বাড়ছে। চতুর্থীর দিন থাকছে ৪ হাজার পুলিশ কর্মী। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত শহরে মোতায়েন থাকবে ৮ হাজার পুলিশ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে থাকবেন ৬ হাজার পুলিশ। ৫১টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে শহরে নজরদারি জন্য।
১৬ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন দায়িত্বে। সঙ্গে ৮২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারও থাকছেন। এছাড়া ২০০ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন নজরদারিতে। ৩০টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। শহরে থাকবে ১৬টি ক্যুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি। এছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোতায়েন থাকবে পুলিশ।
সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও কোনও নেতা-নেত্রী পাইলট লাগিয়ে পুজো দেখতে যান আপত্তি আমাদের নেই। কিন্তু তার জন্য রাস্তা বন্ধ হবে না। কোনওরকম বিশেষ কেয়ার, কেউ বন্ধ করে দিল রাস্তা, সেটা যেন না হয়। আমি যদি কোনও রাস্তা বন্ধ দেখি নিজেই অ্যাকশন নেব।”