আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। তবে মঙ্গলবার দুপুরের বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলাতেই মেঘমুক্ত ঝকঝকে আবহাওয়া থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই এবারের পুজো কাটবে নির্ঝঞ্ঝাটে। তবে পুজোর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের আশঙ্কা রয়েছে। যার কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যে।
ফলে নবমী এবং দশমীতে কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ৪-৫ দিন শুষ্ক আবহাওয়া। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে দিন এবং রাতের। জলীয় বাষ্প আরও কমে যাবে বাতাসে। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সকাল সন্ধ্যা হালকা শীতের হালকা অনুভূতি। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে নবমী এবং দশমীতে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। কোথাও কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ, উপকূল ও সংলগ্ন সাত জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে লাক্ষাদ্বীপ ও সংলগ্ন কেরল উপকূলে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব মধ্য আরবসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে । ২১ অক্টোবর মঙ্গলবার নিম্নচাপ গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই নিম্নচাপটি পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে এবং আরব সাগর পেরিয়ে ওমানের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা।
পুজোর মধ্যেই সপ্তমীর দিন বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। শক্তিশালী হয়ে এই ঘূর্নাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে তার প্রভাবে বাংলার আবহাওয়ার বিরাট কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর।