আজ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-র ব্রিগেড সমাবেশ। বহু মানুষ আজকের সমাবেশে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রার পর এবার ব্রিগেডে শক্তি প্রদর্শন করবে সিপিএমের যুব সংগঠন। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্রিগেডে আসবে ৭টি মিছিল। শিয়ালদা স্টেশন, হাওড়া স্টেশন, শ্যামবাজার, হাজরা,পার্ক সার্কাস, সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন,সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে হবে মিছিল।
ইতিমধ্য়েই জেলাগুলি থেকে কর্মী সমর্থকরা আসতে শুরু করেছেন। শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশনে নেমে জড়ো হচ্ছেন তাঁরা। এখান থেকে মিছিল করে যাবেন ব্রিগেডে। দূরের জেলাগুলির কর্মী সমর্থকরা আগেই কলকাতায় চলে এসেছেন। ওয়াই চ্যানেলে তাঁরা রাত্রিবাস করেছেন। এবার তাঁরাও ধীরে ধীরে ময়দানের দিকে পা বাড়িয়েছেন।
আজকের সমাবেশের মূল মঞ্চটি হবে দৈর্ঘ্যে ৩২ ফুট ও চওড়ায় ২৪ ফুট। মূল মঞ্চে থাকবে চার ফুট বাই চার ফুটের রস্টাম। এখানেই বক্তব্য রাখবেন নেতা নেত্রীরা। মঞ্চের ডান দিক ও বাঁ দিকে দুটি আলাদা মঞ্চ থাকছে। এই মঞ্চ দুটিতে বসবেন দলের মৃত কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা। গোটা ব্রিগেড এবং আশপাশে লাগানো হচ্ছে ৬৫০টি মাইক। বক্তার তালিকায় নাম রয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, DYFI-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, SFI-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য ও DYFI-এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক আভাস রায়চৌধুরী।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই বামেদের রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। সেই থেকে আজও তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শূন্যে নেমে এসেছে সিপিএম। তাই রবিবাসরীয় ব্রিগেড ভরানোটা চ্যালেঞ্জ। কারণ এবার কোনও রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের ডাকে ব্রিগেডে সমাবেশ হচ্ছে। তাই ডিওয়াইএফআই-র কাছে লোক জমায়েত করাটা বড় চ্যালেঞ্জ।