
অবৈধ কয়লা কারবারি মামলায় কলকাতা সহ মোট ২৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ED। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই তল্লাশি অভিযান। তালিকায় কলকাতা ছাড়াও রয়েছে দুর্গাপুর, হাওড়া, পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। বেআইনি ভাবে কয়লা খনি খনন, বেআইনি ভাবে তা পরিবহণ করা এবং কয়লা মজুত করে রাখার মামলাতেই এই ED রেইড বলে খবর।এই ED রেইডে প্রচুর নগদ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই বেআইনি কয়লা কারবার সূত্রে ব্যবসায়ী নরেন্দ্র খারকা, অনীল গোয়াল, যুধিষ্ঠির ঘোষ, কৃষ্ণ মুরারি কয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। প্রায় ১০০ জন ED তদন্তকারী অফিসার এই তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর।
ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে একইসঙ্গে এই তল্লাশি অভিযান চলছে। প্রায় ৪০ জায়গায় রেইড করা হয়েছে। মূলত কয়লা মাফিয়াদের হদিশ পাওয়াই কেন্দ্রীয় এজেন্সির মূল লক্ষ্য।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এর আগে কয়লা পাচার সংক্রান্ত মামলায় দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল নরেন্দ্র খারকা নামে ওই ব্যবসায়ীকে। ফের একবার তদন্তকারীদের নজরে তিনি। ২০২৩ সালে ১ এপ্রিল শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে খুনের ঘটনায় চর্চায় এসেছিল নরেন্দ্র খারকার নাম।
এদিকে, রাঁচিতে ED টিম হানা দিয়েছে ১৮টি জায়গায়। গোটা ঝাড়খণ্ডে প্রায় ৪০ জায়গায় চলছে তল্লাশি। ব্যবসায়ী অনীল গোয়াল, সঞ্জয় উদ্ধোগ, এলবি সিং এবং অমর মণ্ডলের বেআইনি কয়লা কারবারিতে নাম উঠে এসেছে। তাঁদেরই সমস্ত প্রপার্টি এলাকায় চলছে রেইড। কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই ক্ষেত্রে বলে অনুমান ED-র।
কয়লার পাশাপাশি বালি পাচার মামলাতেও সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছে ED। সেপ্টেম্বর মাসেই ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ জহিরুল শেখ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে চলে ED অভিযান। সেই একই মামলার সূত্র ধরে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়াতেও চালানো হয় তল্লাশি।