সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। এখনও চলছে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বাড়িতে এবং বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে ইডি অভিযান। এখনও পর্যন্ত শাসকদলের দুই নেতারই বাড়ি থেকে বের হননি ইডি-র আধিকারিকরা। এদিকে, সন্দেশখালি ও বনগাঁর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ অনেক সতর্ক ও তৎপর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সুজিত ও তাপসের বাড়ির বাইরে অধিক সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছেন রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তা এবং আধিকারিকরাও।
শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তেই এই তল্লাশি বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। শাসকদলের নেতা, তার উপরে আবার মন্ত্রী, সুজিত নিজের এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী। ফলে সন্দেশখালির মতো এখানেও সুজিতের সমর্থনেও লোকজন ভিড় করতে পারে, এমন সম্ভাবনা থেকেই প্রস্তুত হয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মন্ত্রীর বাড়ির গেটের সামনে রয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। আশপাশের এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে। বাহিনীর হাতে রয়েছে লাঠি, কাঁদে রয়েছে রাইফেল, আর মাথায় হেলমেট। জমায়েত দেখলেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ তো খানিক জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়েন। বেলা বাড়তে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সামনেও মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সুজিত বসু। ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগের বেনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। বউবাজারে তাপস রায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কোনও যোগসূত্র আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।