Advertisement

Bratya Basu: 'মানবিক ও রাজনৈতিক ভাবে পাশে আছি,' চাকরিহারাদের নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী

এই রায়ের পরেই বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসুকে নিয়ে নবান্নে জরুরি মিটিং করেন মমতা। আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুশিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 04 Apr 2025,
  • अपडेटेड 4:06 PM IST
  • ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল
  • 'যোগ্য-বঞ্চিতদের পাশে আছি'
  • মুখ্যমন্ত্রীর কথারই পুনরাবৃত্তি

SSC দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু একেবারে সাবধানী মন্তব্য। ব্রাত্যর বক্তব্য, তাঁরা বঞ্চিত ও যোগ্যদের পাশে থাকছেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলার তো বলেই দিয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে রাজ্যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল। এই রায়ের পরেই বৃহস্পতিবার ব্রাত্য বসুকে নিয়ে নবান্নে জরুরি মিটিং করেন মমতা। আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথারই পুনরাবৃত্তি করলেন শিক্ষামন্ত্রী।

'যোগ্য-বঞ্চিতদের পাশে আছি'

বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, আমরা যোগ্য-বঞ্চিত যাঁরা আছেন, তাঁদের পাশে আমরা থাকব। মানবিকভাবে থাকব। রাজনৈতিকভাবেও থাকব। যেটা বলা হচ্ছে টেইন্টেড এবং আনটেইন্টেড, বা একজনের বেতন ফেরত দেওয়া হবে আর একজনের বেতন ফেরত দেওয়া হবে না, এই কথাগুলো তো আমার কথা নয়। এগুলো মহামান্য বিচারপতির রায়ের প্রতিটি পাতায় আছে। আঠাশ নম্বর অণুচ্ছেদে স্পষ্ট করে আছে। অর্থাৎ যা বলা হচ্ছে, তা তো এসএসসির দেওয়া তথ্য থেকেই বলা হয়েছে। অর্থাৎ যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা যে এসএসসি ভাগ করতে পারেনি, সেই কথাটা ঠিক নয়। এটা ঠিক সেই তথ্যে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে প্রধান বিচারপতির রায়ের পর আমরা বুঝতে পারছি। এবং যাঁরা যোগ্য-বঞ্চিত তাঁদের প্রতি একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি যাতে সব তরফ থেকে বেরোয়, আমি সেই আবেদনও করব। আমি শুধু একটাই কথা বলব, মাননীয় মুখমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন।' 

মুখ্যমন্ত্রীর কথারই পুনরাবৃত্তি

বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিচারব্যবস্থার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান আছে। কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। আমিও আইনজীবী হিসেবে আমিও মামলা লড়েছি। পেশাদার হিসেবে না হলেও, মানবাধিকার এবং পড়ুয়াদের নিয়ে মামলা লড়েছি। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমার অধিকার আছে, আমি বিচারপতিকে সম্মান করেই বলছি, এই রায় মেনে নিতে পারছি না। আমি সমালোচনা না করলেও, রায় নিয়ে মতামত জানাতেই পারি মানবিকতার খাতিরে। আশাকরি বিকৃত করবে না, ভুল তথ্য ছড়াবেন না।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement