সস্তায় পুষ্টিকর খাবার বলতে ডিম। আর সেই ডিম কিনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ, এক পিস ডিমের দাম ৮ টাকা। কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। এত চড়া দাম হওয়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। বিক্রেতা ও ক্রেতা- সবাই মুশকিলে পড়েছেন।
ডিসেম্বর মাস শুরু হওয়ার সময়ও ডিমের দাম ৬ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছিল। কিন্ত ডিসেম্বর পড়া মাত্র চড়চড়িয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। কলকাতার একাধিক বাজারে ডিম বিক্রেতারা জানান, তাঁরা পাইকারিতে প্রায় ৬.৯০ বা ৭ টাকা দামে কিনছেন ডিম। ফলে তাঁদের প্রতি পিস ৮ টাকাতে বিক্রি করতে হচ্ছে। ডিমের দামে হেরফেরও হচ্ছে কোথাও কোথাও। যেমন কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলিতে প্রতি পিস ডিম ৮ টাকা দামে বিক্রি হলেও কোনও কোনও বিক্রেতা ২ পিসের দাম ১৫ টাকা নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ১৬ টাকা।
কিন্তু কেন ডিমের দাম এত বাড়ছে, কমবেই বা কবে ? ডিম ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর মাসে ডিমের বিপুল চাহিদা থাকে। কেক, পেস্ট্রি বানাতে ডিম লাগে। অবার পিকনিকেও। তাই চাহিদার সঙ্গে জোগানের ফারাক থেকে যায়। এর ফলে দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিক্রেতারা এও জানাচ্ছেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে ডিমের চাহিদা এখন অনেকটাই বেশি।তাই যে সব রাজ্য থেকে ডিম আসে পশ্চিমবঙ্গে সেই সব তারা চড়া দামে ওই তিন রাজ্যে ডিম বিক্রি করছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের চাহিদা মিটছে না।
আর এক ব্যবসায়ী জানান, পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া ডিমের বেশিরভাগটাই আসে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলাঙ্গানা থেকে। তবে কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তার প্রভাব পড়েছে তেলাঙ্গানাতেও। সেই কারণে, অনেক ফার্ম নষ্ট হয়েছে। তাই ডিমের চাহিদা মিটছে না। দাম বাড়ছে হু হু করে।
ব্যবসায়ীদের মতে, এখন ডিমের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে প্রতি পিসের দাম ১০ টাকাও হতে পারে। বিক্রেতাদের মতে, এই মাসে ডিমের দাম একবার বেড়ে গেলে তা কমার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তাই দাম যদি বাড়ে তা আর কমবে না। যতদিন না জোগান বাড়ছে।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ডিমের দাম এখনই কমবে এমন কোনও সম্ভাবনা তেমন নেই। কারণ, এই মাসে চাহিদা বেশি। জানুয়ারিতেও চাহিদা বেশি থাকবে। তাই কবে ঠিক কমবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে জানুয়ারির শেষের দিকে ডিমের দাম কমতে পারে। সেক্ষেত্রে দাম কমে ৬ টাকা হতে পারে।