Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের ১ জনকে চাকরি, অনুমোদন রাজ্যের মন্ত্রিসভার

জানা গিয়েছে. পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের এক জন করে সদস্যদের প্রত্যেককে হোমগার্ড পদে নিয়োগ করা হবে।প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের পরই গত ১৯ জুলাই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা জানিয়েছিলেন, ভোটে হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলেরই বেশিরভাগ। বাকিরা তিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক।

পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের ১ জনকে চাকরি, অনুমোদন রাজ্যের মন্ত্রিসভারপঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের ১ জনকে চাকরি, অনুমোদন রাজ্যের মন্ত্রিসভার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Nov 2023,
  • अपडेटेड 7:57 PM IST
  • পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক সংঘর্ষে
  • মৃতদের পরিবারকে চাকরিতে সিলমোহর
  • মন্ত্রিসভায় পাশ হয়ে গেল সিদ্ধান্ত

আগেই ঘোষণা করেছিলেন। এবার তাতে সিলমোহর পড়ে গেল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় যাঁরা রাজনৈতিক সংঘর্ঘে মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। এবার সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল মন্ত্রিসভায়।শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ল পুরনো ঘোষণায়।

জানা গিয়েছে. পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের এক জন করে সদস্যদের প্রত্যেককে হোমগার্ড পদে নিয়োগ করা হবে।প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের পরই গত ১৯ জুলাই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা জানিয়েছিলেন, ভোটে হিংসায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে তৃণমূলেরই বেশিরভাগ। বাকিরা তিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থক।

মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, প্রত্যেককে চাকরি দেওয়া হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ করা হবে না। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে আর হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে৷’ মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ১৯ জন নয়, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। গত ১৯ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসায় নিহত ৩২ জনের পরিবারকে তখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৯ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র ভোটের দিনই মোট ১৫ জনের প্রাণহানি হয়। সিপিএম ও বিজেপির ৩ জন করে মোট ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা তৃণমূল কর্মী। মমতার দাবি, ৭১ হাজারের মধ্যে ৩টি বুথে অশান্তি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়, মুর্শিদাবাদের ডোমকল ও কোচবিহার। পঞ্চায়েত নির্বাচনী আবহে নিহতদের ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার স্বজনহারাদের পরিবারের একজন করে পাবেন চাকরিও। শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।

যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে শাসক-বিরোধীর মধ্যে মতানৈক্যের শেষ নেই। ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে শাসকদল দাবি করে। সে দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রাণ কেড়েছে আরও অনেকের। তবে রাজনৈতিক হিংসায় স্বজনহারাদের পরিবারের সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। 

Advertisement

 

 
 
Read more!
Advertisement
Advertisement