অতিরিক্ত পণ্য বহন বন্ধ-সহ সাত দফা দাবিতে আগামী বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার ট্রাক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’। পুজোর ঠিক আগে এই ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যশস্য, ফল, আনাজ, নির্মাণ সামগ্রী-সহ অত্যাবশ্যক পণ্যের জোগান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কলকাতার পাইকারি বাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ধর্মঘটের প্রধান কারণ ও দাবিগুলি: এই ধর্মঘটের মূল কারণ অতিরিক্ত পণ্য বহন বন্ধ করা এবং ট্রাকচালকদের একাংশের মদতে চলা অসাধু চক্র। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ জানান, দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পণ্য বহন বন্ধের দাবি জানানো হলেও, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই অসাধু চক্রের কারণে ট্রাকমালিকরা ন্যায্য ভাড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এবং যানবাহন ও রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে।
হেনস্থার অভিযোগ: ট্রাকচালকরা পথে পুলিশের পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে হেনস্থার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বীরভূম ও কোচবিহার জেলার কিছু ওয়ে ব্রিজে বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, বালি পরিবহণের ক্ষেত্রে ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের কারণে ট্রাকচালকরা নানা হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের উদ্বেগ: এই ধর্মঘটের ফলে খাদ্যশস্য, ফল, আনাজ ও নির্মাণ সামগ্রীর জোগানে টান পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুজোর আগে এই ধর্মঘটের কারণে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও জোগানে ঘাটতি হতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের একাংশ মনে করছেন। ফেডারেশনের দাবি: ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে যে, পরিবহণ শিল্পের দুরবস্থা মোকাবিলা করতে ১৫ বছরের পুরনো ট্রাকগুলিকে ২০ বছর পর্যন্ত চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক।