Advertisement

Kolkata Fire: আমহার্স্ট স্ট্রিটে বিধ্বংসী আগুন, নেপথ্যে প্রোমোটারের 'হাত'? বিস্ফোরক কাউন্সিলর

বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘিরে শোরগোল। একটি বহুতল প্রিন্টিং প্রেসে আগুন লাগে। স্থানীয় কাউন্সিলরের অভিযোগ, এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে থাকতে পারে প্রোমোটারের হাত।

আমহার্স্ট স্ট্রিটে আগুন আমহার্স্ট স্ট্রিটে আগুন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Oct 2025,
  • अपडेटेड 10:03 AM IST
  • আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটি প্রিন্টিং প্রেসে আগুন
  • নেপথ্যে থাকতে পারে প্রোমোটারের হাত?
  • বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কাউন্সিলর

ভাইফোঁটার দিন সাত সকালে কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই আগুন লেগে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকার একটি প্রিন্টিং প্রেসে। মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়ায় ভরে যায় চতুর্দিক। আগুনের লেলিহান শিখা বেরোতে দেখা যায় ওই বিল্ডিং থেকে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে পরিকল্পনা মাফিক অগ্নিসংযোগ করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করছেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধনা বসু। ঠিক কী বক্তব্য তাঁর? 

কীভাবে লাগল আগুন?
দমকলের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, ভিতরে মজুত থাকা দাহ্য পদার্থের কারণেই দ্রুত আমহার্স্ট স্ট্রিটের ওই প্রিন্টিং প্রেসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের সোর্স পয়েন্ট খুঁজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। ল্যাডার নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয় তাদের।ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারপাশ। ফলে ২টি সাকশন মেশিন দিয়ে ধোঁয়া বের করতে হয়। প্রিন্টিং প্রেসে আগুন লাগার জেরে আশপাশের বেশ কিছু দোকান ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রিন্টিং প্রেসের উপরের তলে প্রচুর পরিমাণ মোবিল মজুত ছিল, সেই থেকেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে দমকল। 

কী অভিযোগ কাউন্সিলরের?
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আমহার্স্ট স্ট্রিটের এই এলাকা। স্থানীয় কাউন্সিলর সাধনা বসু বলেন, 'বিল্ডিংটি প্রমোটিংয়ের জন্য আমার কাছে এসেছিল প্রোমোটার। বলেছিলাম, আমার আপত্তি নেই কিন্তু সঠিক পুনর্বাসন যেন দেওয়া হয়। তবে তারপর থেকে আর আসেনি।' এই আগুন স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না তার। কোনও না কোনও ভাবে আগুন লাগানো হতে পারে বলেও আশঙ্কা কাউন্সিলরের। তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা তমোঘ্ন ঘোষের দিকে। তাঁর কথাতেই প্রোমোটার গিয়েছিলেন বলেও দাবি কাউন্সিলর সাধনা বসুর। 

পাল্টা তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, 'আমরা এলাকার ছেলে। সকাল থেকে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েছি। কেউ যদি অলীক কল্পনা করে তাহলে আমার তো কিছু করার নেই। কাউন্সিলরের অনুমতি ছাড়া কি কিছু সম্ভব?'

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement