কলকাতার বড়বাজারের হোটেলে ভয়াবহ আগুনে কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেছুয়া ফলপট্টির কাছে একটি হোটেলে আগুন লাগে। আগুন-আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে কার্নিশ থেকে পড়ে গিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে।
বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলে আগুন লাগে। হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ভয়াবহ আকার নিল আগুন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কী কারণে অগ্নিকাণ্ড তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী শশী পাঁজাও।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন এখন আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে উদ্ধারকাজ চলছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার বর্মা বলেছেন, 'রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। ১৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।' স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা এএনআইকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, 'মর্মান্তিক ঘটনা...সুরক্ষা ব্যবস্থাই নেই কোনও...জানি না, পুরসভা কী করছে।'
অতীতে বড়বাজারে একাধিক বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কয়েক বছর আগে বাগরি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। এর পরেও বেশ কয়েক বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অন্য দিকে, সম্প্রতি কলকাতায় যে ভাবে প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, তাতে সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।