Advertisement

Firhad Hakim: 'আজ বাড়িতে থাকুন,' বলেই দিলেন কলকাতার মেয়র, জল নামতে কতক্ষণ লাগবে?

টানা রাতভর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েছে কলকাতা ও আশপাশের শহরতলি। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অচল হয়ে যায় শহরের স্বাভাবিক জীবন। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ মিলিমিটার।

কন্ট্রোলরুমে তদারকিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম।-ফাইল ছবিকন্ট্রোলরুমে তদারকিতে মেয়র ফিরহাদ হাকিম।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Sep 2025,
  • अपडेटेड 11:12 AM IST
  • টানা রাতভর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েছে কলকাতা ও আশপাশের শহরতলি।
  • সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অচল হয়ে যায় শহরের স্বাভাবিক জীবন।

টানা রাতভর মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত জলবন্দি হয়ে পড়েছে কলকাতা ও আশপাশের শহরতলি। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অচল হয়ে যায় শহরের স্বাভাবিক জীবন। রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় প্রায় ২৫০ মিলিমিটার।

এর ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে রাস্তাঘাট, গলি, চত্বর, এমনকি বহু ঘরের একতলা পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে জলে। বহু এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, গাড়ি তলিয়ে গেছে হাঁটুজলে, রেললাইনে জল জমায় ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। শিয়ালদা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরিষেবা, উত্তর শাখায় দমদম থেকে ট্রেন চললেও বাতিল হয়েছে বহু রুট। মেট্রো পরিষেবাও স্বাভাবিক নেই।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই কলকাতা পুরসভায় বসে নজরদারি চালাচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে রয়েছেন মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ এবং পুরসভার শীর্ষকর্তারা। মেয়র জানিয়েছেন, জল নিকাশির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত ১০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তাঁর কথায়, 'এমন পরিস্থিতি হবে তা আঁচ করতে পারিনি। তবে পুরসভার সব বিভাগই মাঠে নেমে কাজ করছে। জল নামতে আজ রাত ১০টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।'

ফিরহাদ হাকিম আরও সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, 'আজ কলকাতাবাসী যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকুন। বাইরে বেরনো বিপজ্জনক হতে পারে।' বিশেষ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারও আকাশ মেঘলা থাকবে এবং বৃষ্টি চলবে। ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুজোর আগে এমন দুর্যোগে আমজনতার মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জলমগ্ন শহর কত দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, তা এখন মূল প্রশ্ন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement