Advertisement

Firhad Hakim: 'রামমন্দির নিয়ে রাজনীতি, দেখানো হচ্ছে আমরা হেরেছি', বললেন ফিরহাদ

'বাবরি মসজিদ ধ্বংস আমাদের জন্য একটি বেদনা এবং দুঃখের ছিল। তারপরও আমরা সবাই মেনে নিয়েছিলাম কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল। রাম মন্দির উদ্বোধনে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাম মন্দির নিয়ে সূক্ষ্ম রাজনীতি করা হচ্ছে। দেখান হচ্ছে যে, আমরা (সংখ্যালঘুরা) হেরেছি এবং রামের অনুসারীরা জিতেছি।'

ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 20 Jan 2024,
  • अपडेटेड 11:01 AM IST
  • 'বাবরি মসজিদ ধ্বংস আমাদের জন্য একটি বেদনা এবং দুঃখের ছিল।
  • তারপরও আমরা সবাই মেনে নিয়েছিলাম কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল।

'বাবরি মসজিদ ধ্বংস আমাদের জন্য একটি বেদনা এবং দুঃখের ছিল। তারপরও আমরা সবাই মেনে নিয়েছিলাম কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল। রাম মন্দির উদ্বোধনে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু রাম মন্দির নিয়ে সূক্ষ্ম রাজনীতি করা হচ্ছে। দেখান হচ্ছে যে, আমরা (সংখ্যালঘুরা) হেরেছি এবং রামের অনুসারীরা জিতেছি।' অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের আগে সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। 

তাঁর কথায়, 'রামমন্দিরের নামে মেরুকরণের চেষ্টা করছে বিজেপি৷ কিন্তু ভোটের রাজনীতি হওয়া উন্নয়নের নিরিখে।' শুক্রবার তিনি বলেন, ধর্মীয় ভাবাবেগ নষ্ট করে রাজনৈতিক স্বার্থে শ্রী রামকে ব্যবহার করা হচ্ছে । এটা রাজনীতি চলছে। পুরোটাই মেরুকরণের । রামভক্তরা রামমন্দির উদ্বোধন করবেন, রামের কাছে যাবেন, সেটা ভারতজুড়ে পাবলিসিটি করে কী হবে ? এটা নিয়ে দেশজুড়ে মেরুকরণের রাজনীতি অত্যন্ত নিন্দনীয়।'

ফিরহাদ আরও দাবি করেন, 'সবটাই নাটক। সবটাই বিজেপির সার্কাস । ভারতকে মেরুকরণ করে নষ্ট করছে। আরএসএস, মুসলিম লিগ আগে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল, সেটা আমাদের কাছে অত্যন্ত কষ্টের দিন ছিল। আর আজও ঠিক একই কাজ করছে শুধু নির্বাচন জেতার জন্য।'

উল্লেখ্য, আগামী ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ অর্থাৎ পৌষ মাসের শুক্ল কুর্ম দ্বাদশী, বিক্রম সম্বত ২০৮০-র অভিজিৎ মুহূর্তে মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে। তার আগে শাস্ত্রীয় নিয়ম মেনে বেশ কিছু আচার পালন করা হবে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে ধুমধাম শুরু হয়ে গেছে। 

২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তির উপস্থিতিতে মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আচার্য, ১৫০রও বেশি সাধু-সন্ন্যাসী এবং ৫০-এরও বেশি আদিবাসী, জনজাতি শ্রেণির শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।

 

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement