Advertisement

হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েল, আরজি কর কাণ্ডের কোন মামলায়?

গত বছর কলকাতার আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার গোয়েল সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করার সময় ভুল করে নির্যাতিতার নাম বলে ফেলেন। এরপর সমাজের বিভিন্ন অংশ তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে।

আরজি করের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েলআরজি করের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েল
রাজেশ সাহা
  • কলকাতা,
  • 17 Jul 2025,
  • अपडेटेड 2:53 PM IST
  • গত বছর কলকাতার আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে
  • এক চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়

আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার নাম প্রকাশের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। আইপিএস বিনীত গোয়েল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পরপরই ডিভিশন বেঞ্চ আইপিএস বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলাটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছে। যদিও, আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা পুলিশের মতো একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনা কাম্য নয়। তাই, আদালত রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তাঁর বাহিনীর কর্তাদের আরও সতর্ক থাকার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

গত বছর কলকাতার আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে এক চিকিৎসককে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার গোয়েল সংবাদমাধ্যমের সামনে ব্রিফিং করার সময় ভুল করে নির্যাতিতার নাম বলে ফেলেন। এরপর সমাজের বিভিন্ন অংশ তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে। সেই অনুযায়ী বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয় এবং কলকাতা হাইকোর্ট আইপিএস অফিসারের কাছ থেকে জবাব চেয়ে পাঠায়।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন প্রাক্তন কলকাতা পুলিশ কমিশনারের আইনজীবীরা ডিভিশন বেঞ্চের সামনে বিনীত কুমার গোয়েলের চিঠি জমা দেন। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার চিঠিতে লেখেন, 'আমার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।' চিঠিটি পড়ার পর আবেদনকারী আইনজীবীকে বিচারপতি মান্থা বলেন, 'আপনি এই চিঠিটির বক্তব্য শুনেছেন, আপনি কি এই চিঠিতে সন্তুষ্ট?' আবেদনকারী আইনজীবী আপত্তি জানিয়ে বলেন, 'এখানে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমরা এটা মেনে নিচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করা যাবে না।'

অন্যদিকে, বিনীত গোয়েলের আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় এবং মেনকা গুরুস্বামী বলেন, 'এই ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকে অনুরোধ করা হয়েছে। এই ঘটনা হঠাৎ করেই ঘটেছে। কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্যে এটি বলা হয়নি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।'

Advertisement

দু'পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত মনে করে যে আরজি করের নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করার ক্ষেত্রে তৎকালীন কলকাতার সিপি-র কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, বরং এটি তাঁর উত্তেজনার কারণেই ঘটেছিল। তবে, এটি প্রশংসাযোগ্য নয়। তাই, মামলা নিষ্পত্তির পর, বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে বাহিনীর কর্তাদের আরও সতর্ক থাকার জন্য আরও প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা করার পরামর্শ দিয়েছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement